খাশোগিকে বিপজ্জনক মনে করতেন সৌদি প্রিন্স

সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছেন, ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে তিনি বিপজ্জনক ইসলামপন্থী বলে মনে করতেন।

খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার পর কিন্তু সৌদির তরফ থেকে খাশোগিকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে নেয়ার আগে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে এক ফোনালাপে এ কথা বলেছেন প্রিন্স সালমান। ওয়াশিংটন পোস্ট এবং নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে সৌদির তরফ থেকে এই প্রতিবেদনের সত্যতা অস্বীকার করা হয়েছে।

সৌদি আরবের নাগরিক খাশোগি ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ছিলেন। তিনি সৌদির রাজপরিবার এবং এর শাসকদের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশের পর নিখোঁজ হন জামাল খাশোগি। প্রথম দিকে খাশোগির মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করেনি সৌদি। কিন্তু পরে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সৌদির তরফ থেকে স্বীকার করে নেয়া হয় যে, কনস্যুলেটের ভেতরেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে নিহত হয়েছেন খাশোগি। তবে সম্প্রতি তুরস্কের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, কনস্যুলেটে প্রবেশের পর পরই খাশোগিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।

তবে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদির তরফ থেকে খাশোগির নিহত হওয়ার বিষয়ে একমত প্রকাশ করা হলেও এখনও পর্যন্ত তার মরদেহ পাওয়া যায়নি।

খাশোগি হত্যার পেছনে রাজপরিবারের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করা হয়েছে এবং বলা হয়েছে তারা এই ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করবে এবং কঠোর শাস্তি দেবে। ইতোমধ্যেই খাশোগি হত্যায় সন্দেহভাজন ১৮ জনকে আটক করেছে সৌদি। গত মাসে সৌদি প্রিন্স মোহম্মদ বিন সালমান বলেছেন, এই ঘটনা সব সৌদি নাগরিকের জন্যই অত্যন্ত দুঃখজনক।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জেয়ার্ড কুশনার এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টনের সঙ্গে ফোনালাপে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছেন, খাশোগি মুসলিম ব্রাদারহুডের সদস্য ছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে, খাশোগি নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ পরে অক্টোবরের ৯ তারিখে প্রিন্সের সঙ্গে কুশনার ও জন বোল্টনের ফোনালাপ হয়েছে। প্রিন্স সালমান সে সময় যুক্তরাষ্ট্রকে সৌদির সঙ্গে জোট বজায় রাখার আহ্বানও জানান।

তবে খাশোগির পরিবার থেকে তার মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে। তিনি কখনই, কোনভাবেই বিপজ্জনক ছিলেন না বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।