গড়াগড়ি দিয়ে ১৪ মিনিট কাটিয়েছেন নেইমার!

মেসি, রোনালদোর এবারের মতো বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়েছে আগেই। একা হাতে দুর্গ সামলাচ্ছেন নেইমার। দুর্গই বলা চলে। সুপারস্টারদের তালিকা যেখানে ধীরে ধীরে কমছে সেখানে ক্রমশ ফুটে উঠছে ব্রাজিলের ফুটবল। নেইমার ঝলকও আশা দেখাচ্ছে আপামর ব্রাজ়িল সমর্থকদের। তবে, ফুটবলের থেকেও নেইমার বেশি চর্চায় আছেন অন্য এক কারণে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, প্লে অ্যাক্টিং করে অনেক সময় খেলার ছন্দ নষ্ট করে দিচ্ছেন নেইমার।

চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত দুটি গোল করেছেন নেইমার। অ্যাসিস্টও করেছেন একটি। তবে, নেইমারের স্কিলের থেকেও বেশি আলোচনা হচ্ছে তাঁর ডাইভ নিয়ে। সুইস ব্রডকাস্টার আরটিএস-এর তথ্য অনুযায়ী, ৪টি ম্যাচে প্রায় ১৪ মিনিট মাঠে গড়াগড়ি খেয়েছেন নেইমার।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেইমার অনেক সময় ইচ্ছাকৃতভাবে পড়ে গিয়ে ফাউল আদায়ের চেষ্টা করেছেন। এই বিশ্বকাপে তার বেশি কিছু উদাহরণও দেখা গেছে। গত ম্যাচেই মেক্সিকোর বিরুদ্ধে তাঁর ‘প্লে-অ্যাক্টিং’ নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। মাঠের বাইরে বল লেগেও পড়ে গেছিলেন নেইমার। যা নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় হাসির খোরাক হন তিনি। যদিও অন্য এক পক্ষ বলছে, নেইমার অভিনয় করছেন ঠিকই। তবে, কিছুটা নিজেকে বাঁচানোর জন্য। গত বিশ্বকাপে যেভাবে তাঁকে আঘাত করে বিশ্বকাপ থেকেই সরিয়ে দেওয়া হল এবার তিনি সেটা আর চান না।

প্রসঙ্গত, চলতি বিশ্বকাপেও একাধিকবার নেইমারকে কড়া ট্যাকেলের মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিছুদিন আগেই চোট সারিয়ে মাঠে ফিরেছেন নেইমার। চিকিৎসকরা বলছেন, হাঁটুতে ফের চোট লাগলে নেইমারের বিশ্বকাপের আর কোনও ম্যাচ খেলাই অনিশ্চিত হয়ে যেতে পারে।

ব্রাজিল এই প্রতিযোগিতায় এখনও পর্যন্ত চারটি ম্যাচ খেলেছে। তাঁকে ২৩ বার ফাউল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্যাকেলে তাঁর চোট লাগার সম্ভাবনাও ছিল। তবে, অনেক সময় নেইমার ‘অভিনয়’ করেছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

প্রি কোয়ার্টার ফাইনালে অর্থাৎ মেক্সিকোর বিরুদ্ধে ৫ মিনিট ২৯ সেকেন্ড সময় নষ্ট করেন নেইমার। এরমধ্যে ম্যাচের ৭১ মিনিটের মাথায় লেউনের কড়া ট্যাকেলে ২ মিনিটের উপর মাঠে শুয়েছিলেন তিনি।

গ্রুপ স্টেজ ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ১ মিনিট ৫৬ সেকেন্ড, সুইৎজ়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩ মিনিট ৪০ সেকেন্ড নষ্ট করেন নেইমার। কোস্টারিকার বিরুদ্ধে সময় নষ্ট করেছেন ২মিনিট ৪৫ সেকেন্ড। সবমিলিয়ে তিনি ১৩ মিনিট ৫০ সেকেন্ড সময় নষ্ট করেছেন।

আজ কোয়ার্টার ফাইনালে বেলজিয়ামের মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল। এখন দেখার, এই ম্যাচে কতটা সময় নষ্ট করেন নেইমার!