গাইবান্ধায় বাম জোটের জনসভা

দূর্ণীতি, ফ্যাসিবাদী দঃশাসন রুখে দাঁড়ানোর আহ্বানে গাইবান্ধা পৌর শহিদ মিনার চত্বরে বাম গণতান্ত্রিক জোট গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে গতকাল বুধবার বিকেলে এক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট জেলা শাখার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের জেলা সম্পাদক রেবতী বর্মণের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য মোশারফ হোসেন নান্নু, বাসদ (মার্·বাদী)’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী ফোরামের সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম পল্টু, বাসদ গাইবান্ধা জেলা আহবায়ক গোলাম রব্বানী, কমিউনিস্ট পার্টির জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মুরাদ জামান রব্বানী, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা নেতা কাজী আবু রাহেন শফিউল্যা, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ জেলা নেতা মৃণাল কান্তি বর্মন প্রমুখ।

সঞ্চালনা করেন সিপিবি’র জেলা সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মুকুল। বক্তারা বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান আমলের ২২ পরিবারের হাত থেকে মুক্তি পেলেও দেশ আজ ২২০০ পরিবারের হাতে বন্দী। রাষ্ট্রীয় মাফিয়া ও রাস্তার মাফিয়ারা আজ দেশ চালাচ্ছে। শাসকগোষ্ঠী তাদের রক্ষায় দায়িত্ব পালন করছে। সাধারণ মানুষের স্বার্থ শাসক গোষ্ঠীর কাছে উপেক্ষিত।

তাইতো ২০/২৫ হাজার টাকার জন্য দেশকে বাঁচিয়ে রাখা কৃষককে জেলে যেতে হয়, আর লক্ষ কোটি টাকা পাচারকারীরা ভিআইপি মর্যাদায় চলাফেরা করে। তারা পাচারের টাকা ও খেলাপি ঋণ উদ্ধার ও এর সাথে জড়িতদের গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি জানান।

বক্তারা দূর্নীতি দুঃশাসন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে সংগ্রাম গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের অর্জন আজ লুন্ঠিত হয়ে গেছে। এসব লুন্ঠনকারী যে চলমান নীতিতে লুটপাট করছে তার অবসান ঘটিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় দেশ পরিচালনা করতে হবে। বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে, নতুন করে আবার প্রহসনের নির্বাচন করতে চাইছে। দেশে এটা প্রমাণ হয়ে গেছে দলীয় সরকারের অধীনে ভালো নির্বাচন হবে না। তাই নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আদায়ের সংগ্রাম জোরদার করতে হবে। দূর্নীতি, ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন রুখে দাঁড়াতে হবে।

বক্তারা, কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে প্রকৃত কৃষককে প্রণোদনা দেওয়া, ক্ষেতমজুরদের সারাবছর কাজের নিশ্চয়তার দাবি করেন। রেশনিং ব্যবস্থা ও ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, শ্রমিকদের কাজের নিশ্চয়তা, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং ২০ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবি জানান।