গিনি বিসাউ-এ বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

পর্তুগালে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারিক আহসান প্রথম অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত হিসেবে গিনি বিসাউ-এর রাষ্ট্রপতি উমরাও মোকতার সিসোকো এমবালো’র নিকট তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করেন।

পরিচয়পত্র পেশের পর রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

রাষ্ট্রদূত তাঁকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।

এ সময় রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রথম বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত হিসেবে গিনি বিসাউ এর রাষ্ট্রপ্রধান এর নিকট পরিচয়পত্র পেশ করার সুযোগ পেয়ে তিনি গর্বিত। তিনি বাংলাদেশ এবং গিনি বিসাউ এর ঐতিহাসিক সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, উভয় দেশই মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা অর্জন করেছে এবং একই সাথে (সেপ্টেম্বর ১৯৭৪) জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ করেছে। আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে বলেও রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যকার অপার বাণিজ্যিক সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে বলেন, গিনি বিসাউ বাংলাদেশ থেকে সুলভ মূল্যে উন্নতমানের পণ্য যেমন তৈরি পোশাক, ঔষধ সামগ্রী, সিরামিক, ইলেক্ট্রনিকস, সফটওয়্যার, বাইসাইকেল/মোটরসাইকেল এমনকি জাহাজ আমদানি করতে পারে। তৃণমূল পর্যায়ে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মত প্রকাশ করেন, ‘সাউথ-সাউথ কো-অপারেশন’- এর আলোকে বাংলাদেশ এবং গিনি বিসাউ গ্রামীণ উন্নয়ন এবং কৃষিখাতে নিজেদের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে একসাথে কাজ করতে পারে।

রাষ্ট্রপতি তাঁর দেশে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও শান্তি কামনা করে তাদেরকে শুভেচ্ছা প্রেরণ করেন। দু’দেশের মধ্যকার বিদ্যমান সম্পর্ক আরো জোরালো হবে বলে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।