ঘুম ভাঙানো পাখি || আবদুল হাই ইদ্রিছী

ঘুম ভাঙানো পাখি
-আবদুল হাই ইদ্রিছী


গানের পাখি সুরের পাখি
ছড়ার কারিগর,
বুকের ভেতর তৈরি যাঁহার
ভালোবাসার ঘর।

স্কুল জীবন থেকে তাঁহার
স্বপ্ন দেখা শুরু,
স্বপ্ন দিয়ে পাহাড় গড়ে
হয়ে গেলেন গুরু।

ফুলকুঁড়িদের জন্য লেখা
মজার মজার বই,
কত্তো দামি অল্প কথায়
কেমন করে কই?

‘জ্বীনের বাড়ি ভূতের হাঁড়ি’
`জলজ রাজার দেশে’,
দুটো বইয়ের গল্প সব-ই
বেড়ায় মনে হেসে।

ভালোবাসার পরশ দিয়ে
ছড়া লিখে যান,
ছন্দে তাহার জাদু মাখা
আল্লাহ্পাকের দান।

‘জ্বীন পরী আর ভূতোং’ কিংবা
‘মামদো ভূতের ছাও’,
‘স্বপ্ন দেখি মানুষ হবার’
‘ধনচে ফুলের নাও’।

দিবা-নিশি লিখেন তিনি
স্বপ্ন দেশের তরে,
এমন ছেলে থাকতো যদি
প্রতি ঘরে ঘরে।

‘জীবন নদীর কাব্য’ তাঁহার
‘মনটা অবুঝ পাখি’,
‘তোমার চোখে হরিণমায়া’
বুকে ধরে রাখি।

‘স্বপ্নফুলে আগুন’ কিংবা
‘গোমর হলো ফাঁস’,
‘হৃদয় বাঁশির সুর’ খানা যে
মনে বাড়ায় আশ।

‘ছড়ামাইট’ বলবো কি আর
পাঠক সব-ই বুঝে,
আমার দেশে এমন ছেলে
ক’জন তাঁকে খুঁজে।

‘মোহনা’ আর ‘শব্দকলা’
সম্পাদনার ধার,
বুঝতে হলে পড়তে হরে
নেই কোথাও হার।

দিন বদলের স্বপ্ন দেখেন
শব্দ করেন চাষ,
আলোকিত একটি সমাজ
করেন তিনি আশ।

গবেষণায় হাত পাকা তাঁর
মুন্সিয়ানা খুব,
অজানাকে জানতে তাঁহার
গদ্যে মারি ডুব।

‘এম.ফিল’ আর ‘পিএইচ.ডি’ করা
এমন একজন লোক,
কাব্য কলায় পেয়ে মনের
দূর হয়েছে শোক।

ভার্সিটিতে শিক্ষকতায়
কৃতিত্ব তাঁর বেশ,
লিখতে গেলে অল্প কথায়
হবে না তো শেষ।

মাহফুজুর রহমান আকন্দ
ঘুম ভাঙানো পাখি,
হৃদয় মাঝে খুব আদরে
যত্ন করে রাখি।