ঘূর্ণিঝড় ফণী : খুলনা ও সাতক্ষীরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে

সন্ধ্যায় বাংলাদেশে আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ফণী। যাত্রাপথে অনেকটাই দুর্বল হয়ে প্রথমে খুলনা এবং পরে রাজশাহী ও রংপুর অতিক্রম করবে ঘুর্ণিঝড়টি।

আবহাওয়া অফিস বলছে, উপকূলীয় জেলা এবং অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো স্বাভাবিকের চেয়ে চার-পাঁচ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উপকূলবাসীকে রক্ষায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ফণী। বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে দেশজুড়ে। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ হয়ে খুলনার সাতক্ষীরার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়টি। রাজশাহী হয়ে এরপর ছুটবে রংপুরের দিকে। যাত্রাপথে অনেকটাই দূর্বল হয়ে বাংলাদেশে আঘাত হানবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় আশি থেকে একশো কিলোমিটার।

শুক্রবার (০৩ মে) দুপুরে সচিবালয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাব ও করণীয় নিয়ে বৈঠক শেষে আবহওয়া অধিদফতরের পরিচালক জানালেন, খুলনা ও সাতক্ষীরাই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে।

মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে প্রায় ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে। সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় ফণীর কারণে মোংলা ও পায়রা বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বৈঠকে প্রাণহানি শূন্যের কোঠায় থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন দুর্যোগ ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার এনামুর রহমান।

এনামুর রহমান বলেন, আমরা একটি প্রাণও হারাবো না। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রে যারা আশ্রয় নেবে তাদের সব ব্যবস্থা করা হবে।’

এদিকে, সকাল থেকেই রাজধানীতে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হচ্ছে। তীব্র দাবদাহের পরে এ বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি নিয়ে এসেছে নগরবাসীর মনে।

এ পর্যন্ত সারা দেশে ৪ লাখেরও বেশি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনা হয়েছে। সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে উপকূলীয় জেলাগুলোর ২১ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হবে ।