চট্টগ্রাম পতেঙ্গা স্টিল মিলস বাজার দীর্ঘদিন আইনী লড়ায়ের পরেও শেষ রক্ষা হয়নি

বন্দরনগরীর চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী পতেঙ্গার স্টিল মিলস বাজারটি দীর্ঘদিন আইনী লড়ায়ের পরে, গতকাল (সোমবার) থেকে আজ ১৫জুন মঙ্গলবার দুই দফায় অভিযান চালিয়ে বেপজার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে দোকান পাট ভেঙ্গে বেপজা কতৃপক্ষ উচ্ছেদ করে তাদের জায়গা বুঝে নিয়েছেন বলে কেইপিজেড(বেপজা) কার্য্যলয় সূত্রে জানা গেছে।

বেপজা কতৃপক্ষ(কেইপিজেড কার্য্যলয়) সূত্র আরো জানা যায় বহু বছর ধরে সীমানা প্রাচির জুড়ে বেপজার ক্রয়কৃত সম্পত্তি বেদখল থাকলে তাহা উদ্ধারের জন্য বারবার উদ্যেগ নিয়েও বাজার কমিটির অপশক্তি, সহ” অনৈতিক মিথ্যা মামলার জটিলতার কারণে’ বেপজার বিশাল, অংশ আমাদের সীমানা বাইরে বাজার কমিটি সেই অপশক্তির আওতাধীন দখলে ছিল।

এ ব্যাপারে বেপজার জি.এম একরাম হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদিদের জানান, এই ষ্টীলমিল বাজারের এরিয়াটি কর্নফুলি ইপিজেডের। হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দশনায় এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যা গত ২/৩মাস পূর্বে বিজ্ঞ আদালতে নিষ্পতি হবার পরেও বাজার সমিতির কিছু প্রভাবশালী অবৈধ ভাবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী দোকান্দারদের ভূল বুঝিয়ে সরকারি জমির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

কিন্তূ উগ্রপন্থীদের সেই কোটের আপীল মিস মামলা ওসম্প্রতি খারিজ হলে, আমরা আইনগত ভাবে রাষ্ট্রিয় সম্পত্তি বুঝে নেই। এখানে ফুটপাতের দোকান বাদ দিয়ে দেড়শতকের মতন দোকান ছিল বলে পুরাতন দোকানদারগন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

তবে একটি বিশেষ সূত্রে জানা গেছে যে, ঐস্থানে একটি ব্যবসায়ী কমপ্লেক্স নিমার্ণ হবে, এতে অগ্রাাধিকার ভিত্তিতে পুরাতন দোকানদারদের ন্যায্য জমানত/ স্যালেমী দিয়ে পজিশন ভাড়া নিতে পারবেন।

উচ্ছেদের ২/৩দিন পূর্বে দোকান্দারদের নিজ নিজ দায়িত্বে তাদের দোকানে থাকা মালামাল সরিয়ে নিতে বলা হলে,, সোমবার সন্ধ্যা থেকে অনেক দোকানদার তা, সরিয়ে অন্যত্রই নিয়ে রেখেছে বলে জানা যায়।

উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটি নামে সংগঠনের মূল কাউকে পাওয়া না গেলেও স্থায়ী দোকানদার চট্টগ্রামের স্থানীয় কয়েকজন সওদাগররা, সংবাদ গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, দোকান ভেঙে দেওয়ার আদেশ থেকেই মোঃ শাহাবুদ্দিন (সাইফ), মোঃ সুমন ও মনজুর নামে তিনজনের কেউ তাদের সাথে কোন যোগাযোগ বা সমিতির জমা-খরচ না দিয়ে না জানিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এদিকে বহু পুরাতন ঐতিহ্যবাহী স্টিলমিল বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নেতা হাজী মোঃ মাবুদ সওদাগর, জানে আলম সওদাগর এবং পতেঙ্গা স্টিল মিলস জনকল্যান সমিতির মোঃ ইউসুপ নামের তিন নেতা কে সাধারণ সদস্যরা খোঁজাখুজি করে পাইনি বলে মাছ ব্যবসায়ী অরুণ জানিয়েছেন।

তবে এখানে অনেক নিরীহ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ছিল যাদের পরিবার-পরিজন চলত এই দোকানের আয় থেকে। এর ফলে তারা আজ অনেকটাই নিঃস্ব হয়ে পড়বেন বলে আবেগজড়িতদের চোখের পানি দেখে বুঝাযায়।

অন্যদিকে কয়েকজন মরিছ ব্যবসায়ী মোঃ রফিক সহ অনেক ব্যবসায়ীরা বলেন যে, দীর্ঘ ৫০/৬০ বছর ধরে একটি বাজার কেন স্থায়ীত্ব পেলনা বা গ্রামবাসীর চাহিদার কথা বিবচেনা করে জনপ্রতিনিধিরা কেন বাজার স্থায়ী করার উদ্যোগ নিল না আসলে তারা কখনো দোষ এড়াতে পারেন কি?

মঙ্গলবার সকালে এই উচ্ছেদ অভিযানের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মুঠোফোনে উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ৪০ নং ওয়ার্ড আঃলীগ সভাপতি ও উত্তর পতেঙ্গার কাউন্সিলর আঃবারেক ওতার সাঙ্গু পাঙ্গুরা সংবাদ কর্মীদের মুঠোফোনে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, আরো বলেন তোমরা অনলাইন সাংবাদিক) আরো এখানে কিছু কথা প্রকাশের যোগ্য নহে বলে নাজেহাল করেন। ঐ- সময় উচ্ছেদ অংশের নিকটে থাকা পতেঙ্গা থানার কোন দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা মিডিয়ার কর্মীদের সাথে কথা বলেতে চাইনি। এসময় বেপজার নিজস্ব আনসার বাহিনী, শিল্প পুলিশ টিম, বিশেষ পুলিশ টিম এবং বেপজার(কেইপিজেড) নির্বাহী দায়িত্বশীল প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বাজারটি উচ্ছেদের কারণে ৩৯,৪০,৪১নং ওয়ার্ডের বসবাসরত বাসিন্দারা আংশিক সমস্যায় পড়তে পারেন বলে অনেক সচেতন মহল মুঠো ফোনে প্রতিবেদক কে জানিয়েছেন।