চরম দুর্দশা থেকে মানুষকে বাঁচাতে হবে : আ স ম রব

স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক আ স ম আবদুর রব বলেছেন, এখন মানুষ বাঁচানোই হচ্ছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। কোন মানুষ দুর্ভিক্ষে তাদের প্রিয় সন্তানের মৃত মুখ দেখতে চায় না। মানুষকে বাঁচানোর উপর সর্বোচ্চ নজর দিতে হবে। সরকারের দায় দায়িত্বহীন ও কাণ্ডজ্ঞানহীন পরিকল্পনা আজকের এই চরম দুর্দশা ডেকে এনেছে। সরকার নিজেই সম্ভাব্য এবং আসন্ন দুর্ভিক্ষের কথা বলছে অথচ নির্বাচনে কারচুপির জন্য ৯ হাজার কোটি টাকার ইভিএম ক্রয়ের মত অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ করছে এবং সংগ্রামী জনতার আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে বিভিন্ন বাহিনীর জন্য প্রাণহরণকারী অস্ত্র ক্রয় করছে। এতে সরকারের ভারসাম্যহীনতা প্রকাশ পাচ্ছে।

রবিবার (৬ নভেম্বর) জেএসডি সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ স ম আবদুর রব এসব কথা বলেন।

সিরাজগঞ্জ পৌর ভাসানী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ত্রি বার্ষিক সম্মলনে সভাপতিত্ব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক জনাব এম এ মালেক।

তিনি আরও বলেন, সরকারের দুর্নীতি, অপচয় ও অর্থপাচার দেশে গুরুতর সংকট ডেকে আনছে। বাংলাদেশে ব্যাংক সেক্টর ধ্বংসের মুখোমুখি হওয়ায় অতি সহজেই সরকারের কোন উদ্যোগ সুফল বয়ে আনবে না। সরকারের মুনাফেকিসুলভ কর্মকান্ড ও কাণ্ডজ্ঞানহীনতার কারণে অর্থনৈতিক সংকট ও সামাজিক সংঘাত নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যাচ্ছে। এই আত্মবিধ্বংসী রাজনৈতিক ব্যবস্থা পরিবর্তন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। নিপীড়নমূলক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তে অংশিদারিত্বের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে রাষ্ট্র রূপান্তর নিশ্চিত করতে হবে।

এখন গণমানুষের স্বার্থ উপেক্ষা করে আইএমএফ এর শর্ত মোতাবেক সরকার বৈদেশিক ঋণের জন্য উদগ্রীব হয়ে পড়েছে, কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকার ক্ষমতায় আছে ততক্ষণ জাতীয় সংকটে কোন ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে না। কারণ এই দুরবস্তার জন্য সরকারই দায়ী। সুতরাং এই দুর্দশার দায় মাথায় নিয়ে সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে।

বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন তালুকদার।
বক্তব্য রাখেন দলের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ সিরাজ মিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য তানিয়া রব, কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, আনোয়ারুল কবির মানিক, আমির উদ্দিন মাস্টার, এস এম শামসুল আলম নিক্সন, শাহাদাত হোসেন খোকন, তৌফিকুজ্জামান পিরাছা সহ জেলা ডেএসডি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলন অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।