চলমান আন্দোলনের একটাই লক্ষ্য- সরকারের পতন ও গণতন্ত্র উদ্ধার : নোমান

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, ৭ মার্চে শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু জিয়াউর রহমান যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিতেন তাহলে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র সহজে পেতাম না। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে দেশে মুক্তিযুদ্ধ নয়, গৃহযুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত হতো।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।

আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আসলে সত্য কথা বলতে, বিভিন্ন স্থানে বক্তব্য দিতে আমার অনাগ্রহ। সরকার পতনের আন্দোলন শ্লোগান হবে, বক্তব্য নয়। এই দিনে মুজিবুর রহমান সাহেব বক্তব্যের কারণে সমাদৃত হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষও উজ্জীবিত হয়েছিল। কিন্তু তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে পারেন নাই। নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়নি, লড়াই করে দেশ স্বাধীন করেছি। স্বাধীন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা আওয়ামী লীগ স্বাধীনতার পর পূরণ করতে পারে নাই, স্বাধীন বাংলায় লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আবারও তারা লুটপাট শুরু করেছে।

বিএনপির এ ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, চলমান আন্দোলনের একটাই লক্ষ্য, এই সরকারের পতন ও গণতন্ত্র উদ্ধার করা। বিএনপি লড়াই করছে এটা ঠিক কিন্তু এই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলন এবং সবাইকে এটি সফলতা দিকে নিয়ে যেতে হবে।

আবদুল্লাহ আল নোমান আরও বলেন, তারেক রহমান গণতন্ত্রের লড়াই শুরু করেছে, তাতে জনগণকে সম্পৃক্ত করব। আমরা এই লড়াইয়ে অবশ্যই জিতব। আমরা খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের মুক্তি চাই না। আমরা চলমান রাজনৈতিক আন্দোলন সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো, এই সরকারের পতন ঘটাব এবং তাদের মুক্ত করব। আপনাদের চলমান আন্দোলনে রাজপথে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

দৈনিক দিনকাল পত্রিকা প্রকাশ বন্ধের প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবিতে জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদ (জিসপ) এর উদ্যোগে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

সমাজকল্যাণ পরিষদ সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপ‌তিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান সামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গণি চৌধুরী, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, জিয়াউর রহমান সমাজকল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাল হোসেন জামাল, জিনাফ সভাপতি লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।