চলে গেলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এইচএম এরশাদ আর নেই। রবিবার সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্নালিল্লাহি………. রাজিউন)।

আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান জানিয়েছেন, রবিবার সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে এরশাদ সিএমএইচে মারা যান।

এর আগে ৪ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। ওই দিন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের জানান, এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত। এটি আমাদের কাছে শুভ লক্ষণ মনে হচ্ছে না। কিডনি যেভাবে কাজ করা কথা ছিল সেভাবে কাজ করছে না। তাকে বিদেশে নেয়ার অবস্থাও নেই।

এরশাদকে গত ২২ জুন সকালে হাসপাতালে ভর্তির পর কয়েকদিন অবস্থার দৃশ্যমান কিছুটা উন্নতি মনে হলেও গত রবিবার ভোর থেকে তার অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটে। তার ফুসফুসে ইনফেকশন ধরা পড়েছে। ফুসফুসে পানি জমেছে, ফলে প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট শুরু হয়েছে। চিকিৎসকরা কৃত্রিম উপায়ে তাকে অক্সিজেন দিয়ে রেখেছিলেন।

মঙ্গলবার বিকাল থেকে এরশাদের প্রচণ্ড কাঁপুনি দিয়ে দফায়-দফায় জ্বর আসে। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে বুধবার সকালে তাকে সিএমএইচের ক্রিটিক্যাল ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলায় দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫২ সালে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। ১৯৬০ – ১৯৬২ সালে তিনি চট্টগ্রাম ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের কেন্দ্রে অ্যাডজুট্যান্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৯৬৬ সালে তিনি কোয়েটার স্টাফ কলেজ থেকে স্টাফ কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৬৮ সালে তিনি শিয়ালকোটে ৫৪ ব্রিগেডের মেজর ছিলেন। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হিসেবে পদোন্নতি লাভের পর ১৯৬৯-১৯৭০ সালে ৩য় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট-এর অধিনায়ক ও ১৯৭১ – ১৯৭২ সালে ৭ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর অধিনায়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।