চাঁদপুরে ভুয়া মাজার বানিয়ে প্রতারণার ফাঁদ!

চাঁদপুরের কচুয়ায় ভুয়া মাজার তৈরি করে এক দম্পতি প্রতারণার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার চক্রা গ্রামের বেনুচোতে প্রায় ২ মাস আগে ওই গ্রামের মৃত টুকু মিয়ার ছেলে আ. মমিন খন্দকার, তার দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া বেগম মিলে তাদের নতুন বাড়িতে ঘরের সামনে দুটি নতুন কবর তৈরি করে।

তারা কবর দুটির চারদিকে লালসালু ও কয়েকটি ছবি টানিয়ে দেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে লোকজনের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গেলে ওই গ্রামের আনোয়ার হোসেন,আহসান হাবীব, সোহেল, আবু হানিফ, রফিক, ফরহাদ হোসেনসহ একাধিক লোকজন জানান, এই স্থানে আগে কোনো মাজার কিংবা কবর ছিল না। আ. মমিন খন্দকার তার দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া বেগমের প্ররোচনায় গত ২৯ নভেম্বর রাতে কিছু অতিউৎসাহী লোকের সহায়তা তার ঘরের সামনে মাটি দিয়ে দুটি নতুন কবর তৈরি করে আধ্যাত্মিকভাবে মাজার হয়েছে বলে প্রচার চালায়।

এটি এলাকার সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দেয়ার জন্য কবরের মতো তৈরি করেছে বলে এলাকাবাসী দাবি করেন।

এলাকাবাসী এটিকে ভুয়া মাজার দাবি করে এটি নিয়ে তারা স্বামী ও স্ত্রী যাতে কোনো প্রতারণা কিংবা ফায়দা লুটতে না পারে অচিরেই- তা বন্ধ করতে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

আ. মমিনের প্রথম স্ত্রী নাছিমা বেগম জানান, এই বিষয়ে মুখ খুলতে নিষেধ রয়েছে।

এটি কোনো আধ্যাত্মিক ব্যক্তির নামে মাজার কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি আমার স্বামী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া বেগম ভালো জানেন। তবে এখানে পূর্বে কোনো কবর ছিল না। মাঝেমধ্যে এখানে হালকা জিকিরের ব্যবস্থা করা হয় বলে জানান নাছিমা।

এ ব্যাপারে দ্বিতীয় স্ত্রী রোকেয়া বেগম মোবাইল ফোনে জানান, আমার স্বামী আ.মমিন ও আমি ফরিদপুরের আটরশির মুরিদ (ভক্ত)। আমার স্বামী আ. মমিন খন্দকার কচুয়া-ঢাকা সড়কের সুরমা বাসের সুপারভাইজার। আমরা নারায়ণগঞ্জে বসবাস করি। আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মাজারে যাই। আমাকে স্বপ্নে দেখানোর ফলে আমি এটি করে তাদের আশ্রয় দিয়েছি।

তবে কোনো ধরনের প্রতারণার উদ্দেশ্যে এটি করি নাই। শুধুমাত্র স্বপ্নে দেখানোর ফলে তাদের আশ্রয় দিতে এটি করেছি।

এগুলো কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো আলগা (জিন) জাতীয়।

আশরাফপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ এলাহী সুবাস জানান, চক্রা গ্রামে আধ্যাত্মিক মাজার ওঠার বিষয়ে আমার জানা নেই।

কচুয়া থানার ওসি মো. আতাউর রহমান ভূঁইয়া বলেন, চক্রা গ্রামে আধ্যাত্মিক মাজার ওঠার বিষয়ে জানা নেই। তবে এখানে কোনো প্রতারণা হয় কিনা- তা খোঁজখবর নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।