চাঁদের প্রথম চারাগাছ চীনের

চাঁদের বুকে প্রথম কোনও চারাগাছ জন্মাতে সক্ষম হওয়ার দাবী করেছেন চীনের বিজ্ঞানীরা। চাঁদে তাদের প্রথম অভিযানেই বীজ থেকে অঙ্কুরোদ্গম ঘটাতে পেরেছেন জানিয়ে একটি ছবি প্রকাশ করেছে ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিএনএসএ)।

ব্লুমবার্গ পত্রিকার খবরে বলা হয়, ১২ জানুয়ারি চাঁদের বুক থেকে চীনা নভোযানের পাঠানো ছবিতে দেখা যায়, বীজ রোপণের মাত্র নয়দিনের মাথায়ই তা থেকে ছোট্ট চারা গজিয়েছে।

চাঁদে এই অভিযানে জীববিজ্ঞান বিষয়ক গবেষণার দায়িত্বে থাকা চঙ্কিং ইউনিভার্সিটি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য দেয়।

চীনের চ্যাং’ই-৪ চন্দ্রযানে বায়ুরোধক কয়েকটি কন্টেইনারের ভিতর মাটিতে তুলা, আলু, ও রাই সরিষার বীজ এবং ইস্ট ও মাছির ডিম পাঠানো হয়েছে। এসব ফসল উচ্চমাত্রার বায়ুশূন্য অবস্থা, বিভিন্ন ধরনের তাপমাত্রা এবং কঠিন রেডিয়েশনের মধ্যে রাখা হয়েছিল।

চাঁদের অন্ধকার দিকে প্রথম নভোযান পাঠানো দেশ চীন এবার আরও চারটি নতুন অভিযানের পরিকল্পনা করছে তাদের পরীক্ষার ফলাফলের নমুনা ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। ক্রমান্বয়ে তারা চাঁদেই একটি গবেষণাগার স্থাপনেরও পরিকল্পনা করছে।

এ বছরই চাঁদে চ্যাং’ই-৫ নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছে চীন এবং পরবর্তীতে আরও তিনটি নভোযান পাঠানো হবে চাঁদে, জানান ওউ ইয়ানহুয়া, সিএনএসএ’র সহকারী প্রশাসক।

‘আমরা চ্যাং’ই-৮ পাঠাবো বিশেষ কিছু প্রযুক্তি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। চাঁদে যৌথভাবে একটা গবেষণাগার প্রস্তুত করতেও অনুসন্ধান চালানো হবে,’ বলেন ওউ।

বাণিজ্য, প্রযুক্তি ও সামরিক ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের প্রতিযোগিতা যত তীব্রতর হচ্ছে, ততই মহাকাশে চাঁদ ও মঙ্গলগ্রহের অভিযান চালানোয় মনযোগী হয়ে উঠছে চীন। ২০২২ সালের মধ্যে মহাকাশে নিজস্ব স্পেস স্টেশন ভাসানোর পরিকল্পনাও করছেন এশিয়ার দেশটি।