চামড়া শিল্প রপ্তানিমূখী ও বহুমূখী সম্ভাবনাময় খাত : শিল্পমন্ত্রী

শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এমপি বলেন, চামড়া শিল্প দেশের অন্যতম একটি রপ্তানিমূখী এবং বহুমুখী সম্ভাবনাময় খাত। চামড়া শিল্পের অধিকাংশ কাঁচামাল (কাঁচা চামড়া) কোরবানির সময় সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। আমাদের সরকার এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের এবং দপ্তর/সংস্থাসমূহের পূর্বপ্রস্তুতির ও সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে কারণে এবারের কোরবানির চামড়া নিয়ে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অব্যবস্থাপনা তৈরি হয়নি। লবণ দিয়ে যথাসময়ে ও যথাযথ প্রক্রিয়ায় চামড়া সংরক্ষণ করা হয়েছে। চামড়া সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে লবণের সরবরাহ ছিল এবং কোনো চামড়া নষ্ট হয়নি। জেলা, বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে মাঠ পর্যায়ে মনিটরিং ও টিমওয়ার্কের কারণে চামড়া সংগ্রহ, পরিবহন ও সংরক্ষণের চামড়া ব্যবস্থাপনায় এবার সুফল এসেছে। এবছর প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম ব্যাপকভাবে চালানো হয়েছে, যার ফলে আমরা কোরবানির চামড়া ব্যবস্থাপনার সুফল পেয়েছি।

শিল্প মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সংস্থাসমূহের কর্মকর্তাদের সাথে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে (ভার্চুয়ালি) শিল্পমন্ত্রী রবিবার এসব কথা বলেন।

শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শিবনাথ রায়, অতিরিক্ত সচিব (রাস্ট্রায়ত্ত করপোরেশন); শাহ মোঃ ইমদাদুল হক, চেয়ারম্যান, বিসিআইসি; মোঃ মোশতাক হাসান এনডিসি, চেয়ারম্যান, বিসিক।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চলনা করেন মোঃ গোলাম ইয়াহিয়া, অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা)।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর/ সংস্থার ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাবৃন্দ ভার্চুয়ালী অংশগ্রহণ করেন।

শিল্পমন্ত্রী আরো বলেন, করোনা মহামারীর মধ্যেও শিল্প মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। শিল্পখাতের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্যসুরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিপালন করে সুস্থ থাকতে হবে এবং সচেতন হতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এমপি বলেন, কোরবানির চামড়া কিভাবে সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করতে হবে এ বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় যথাসময়ে সিদ্ধান্ত ও যথাযথ কার্যক্রমের গ্রহণের কারণে এ বছর চামড়া নিয়ে আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি। এবার চামড়া সংরক্ষণ, স্থানান্তর ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিল্প মন্ত্রণালয় সফল হয়েছে এবং ব্যবসায়ীরা চামড়ার সঠিক দাম পেয়েছে। কোরবানির চামড়া কিভাবে সংরক্ষণ ও স্থানান্তর করতে হবে এবং তার সঠিক নির্দেশনা শিল্প মন্ত্রণালয় যথাসময়ে দিয়েছে, বিভিন্ন গণমাধ্যমে জনস্বার্থে সচেতনামূলক প্রচারণা চালিয়ে জনগণকে সচেতন করেছে। ফলে কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে আমরা সুফল পেয়েছি। এজন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান শিল্প প্রতিমন্ত্রী।

সভাপতির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়, বিসিক এবং মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের সহায়তায় এবং কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক সহযোগিতায় এবারের কোরবানিকৃত পশুর চামড়া সংরক্ষণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে সম্পূর্ণ হয়েছে। শিল্প সচিব এই সার্বিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত সকলকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি আরো বলেন, আমি আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ ভবিষ্যতে আরও ব্যাপকভাবে এই দায়িত্ব পালন করবে।