চাল আমদানিতে নিরুৎসাহিত করতে শুল্ক-কর বাড়িয়েছে সরকার

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ড আমদানি নিরুৎসাহিত করতে চালের ওপর বর্তমানে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ বহাল রেখে রেগুলেটরি ডিওটি ৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ২৫ শতাংশ করেছে। একই সঙ্গে এসব পণ্যের ওপর ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে।

ফলে চাল আমদানির ক্ষেত্রে মোট করভার শতাংশ (কাস্টমস্ ডিওটি ২৫ শতাংশ এবং রেগুলেটরি ডিওটি ২৫ শতাংশ ও অগ্রিম আয়কর ৫ শতাংশে) উন্নিত করা হয়েছে।

বুধবার (২২ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সৈয়দ এ. মু’মেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশে এসআরও. জারি করা হয়।

বুধবার (২২ মে) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এ-সংক্রান্ত একটি এসআরও জারি করেছে, যা আজ থেকেই কার্যকর হবে। এর আগে চাল আমদানিতে মোট শুল্ক ছিল ২৮ শতাংশ। এখন সেটি প্রায় দ্বিগুণ করে ৫৫ শতাংশ করা হয়েছে।

এনবিআর জানিয়েছে, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চাল আমদানি নিরূৎসাহিত করতে চালের আমদানি শুল্ক বাড়ানো হল।

চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১০ মাসে প্রায় ৩ লাখ ৩ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির তথ্য জানিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, এতে দেশীয় কৃষকগণ উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে চাল বিক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে প্রান্তিক কৃষকগণ আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

তিনি বলেন, কৃষকগণকে আর্থিক ক্ষতি হতে রক্ষাকল্পে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুশাসন অনুযায়ী আমরা আমদানি পর্যায়ে চালের উপর আমদানি শুল্ক-কর বৃদ্ধি করেছি।

এবার বোরোর ভালো ফলনের পর সরকারি পর্যায়ে ধান-চাল কেনা শুরু না হওয়ায় কৃষকরা ফড়িয়াদের কাছে বিক্রিতে বাধ্য হচ্ছিলেন। এতে উৎপাদন খরচ না ওঠায় অসন্তোষ থেকে পাকা ধানে কৃষকের আগুন দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।

এই পরিস্থিতিতে কৃষকদের রক্ষায় চাল আমদানি সম্পূর্ণ বন্ধ করার সুপারিশ করেছিল খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

এছাড়া গত ২০ মে চাল আমদানি বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের কৃষকদের ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে চাল আমদানিতে কঠোর হবে সরকার এবং আমদানি নিরুৎসাহিত করতে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। পাশাপাশি দেশের বাড়তি চাল রপ্তানি উদ্যোগ হিসেবে ভর্তুকি দেয়া হবে।