চুল পাকার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পান ৫টি অসাধারণ উপায়ে

কথায় আছে কুড়িঁতে বুড়ি। কিন্তু কেউ কি কুড়িঁতে বুড়ি হতে চায়? কেউই চায় না। অথচ অনেকরেই বয়স কুড়িঁ হতে না হতে পাকতে শুরু করে চুল।

ছেলেরা যাও কাঁচা-পাকা চুল নিয়ে বয়সের তুলনায় ভারিক্কি একটা ভাব নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও মেয়েদের জন্য এটা বিড়ম্বনা ছাড়া আর কিছুই না! কেন হয় এই অকাল পক্ক? এর পিছনের কারণটাই বা কি? কম বয়সে চুল পেকে যাওয়ার একটা অন্যতম কারণ হল আমাদের শরীরে জিন বা বংশগতির প্রভাব

তাছাড়া খাবারদাবারের ভেজাল ও পরিবেশগত দূষণসহ অতিরিক্ত মানসিক চাপ, ধূমপান বা জীবনযাপনের নানা সমস্যার কারণেও কম বয়সে চুল পাকতে শুরু করে। মুলত চুলের রং নির্ভর করে বিশেষ হরমোন মেলানিনের ওপর। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মেলানিন তৈরির ক্ষমতা কমে আসে বলেই বুড়ো বয়সে চুল পাকে।

ড্রাই বা কলপ ছাড়াও প্রাকৃতিক উপায়ে রোধ করতে পারেন চুলের অকাল পক্কতা। আসুন জেনে নেওয়া যাক পাকা চুলের হাত থেকে মুক্তি পাবার ৫টি কার্যকরী উপায়।

১. লেবুর রস এবং আমলকীর পেষ্টঃ

চুলের পাকা রোধ করতে আমলকীর জুড়িঁ নেই। ভিটামিন সি আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ আমলকী চুলের পাকা রোধ করার সাথে সাথে চুলের গোঁড়াও মজবুত করে থাকে। আমলকী থেঁতলে নিয়ে হালকা করে বেটে নিন, এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পেষ্ট তৈরি করুন। এইবার এই পেষ্ট চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে মাখুন। চাইলে পাকা চুলেও লাগাতে পারেন। ১৫-২০ মিনিট রেখে দিয়ে বেশি করে পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পেতে চাইলে প্রতিদিন ব্যবহার করুন।—-

২. পেঁয়াজের পেষ্টঃ

নতুন চুল গোজাতে,চুল মুজবুত করতে পেঁয়াজের ব্যবহার হয়ে আসছে সেই আদিকাল থেকে।চুল পাকা রোধতে এমন কি পাকা চুল কালো করতেও পেঁয়াজের রস অনেক উপকারী। পেঁয়াজ বেটে পেষ্ট করে নিন। চুলের গোড়ায় খুব ভালভাবে ঘষে ঘষে লাগান। পেষ্ট শুকানোর পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এটি সপ্তাহে একদিন করতে পারেন। তবে প্রতিদিন করলে দ্রুত ফল পাবেন।

৩. নারকেলের তেল এবং লেবুর রসঃ

নারকেল তেলের সাথে লেবুর রস মেশান। আঙুলের ডগায় তেল নিয়ে ঘষে ঘষে চুলের গোড়ায় ম্যাসেজ করুন। সাদা চুল কালো করতে নারকেল তেল আর লেবুর রস খুব ভাল একটি উপায়। সপ্তাহে ২/৩ বার আর সম্ভব হলে প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন ব্যবহারে চুল পাকার সম্ভাবনাও কমে যায় অনেকখানি।

৪. গাজরের রসঃ

খাবারদাবারের মেনুতে নিয়মিত রাখুন গাজরের রস। প্রতিদিন ১ গ্লাস গাজরের রস পান করলে চুল পাকার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। গাজরের রস সরাসরি চুলে লাগানোর চেয়ে মুখে খাওয়াই বেশি কার্যকরী।

৫. তিল এবং বাদামের তেলঃ

তিলের তেল এবং বাদামের তেলের মিশ্রণ চুল পাকা রোধ করে থাকে। বাদামের তেলের সাথে তিলের বিচ দিয়ে পাঁচ-সাত মিনিট ধরে গরম করুন। চুলা থেকে নামিয়ে তেলটা ঠান্ডা হতে দিন। তেল ঠাণ্ডা হলে চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে সারা মাথায় মাখুন। আধা ঘণ্টা রেখে দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এমনকি চাইলে এই তেল সারা রাতও রেখে দিতে পারেন। পরদিন সকালে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।