জাতীয় মসজিদে এরশাদের জানাজায় মুসল্লিদের ঢল

সাবেক প্রেসিডেন্ট ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের তৃতীয় নামাজের জানাজা রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বাদ আসর জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় এই নেতার জানাজায় দলীয় নেতাকর্মীসহ মুসল্লিদের ঢল নামে। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স বায়তুল মোকাররম মসজিদের ১ নং গেটে এসে থামে।

এর আগে সকালে জাতীয় সংসদের টানেলের নিচে এরশাদের দ্বিতীয় নামাজের জানাজা সম্পন্ন হয়।

সেখানে এরশাদের জানাজায় অংশ নেন- রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, তোফায়েল আহমেদ, কাজী ফিরোজ রশীদ, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, আব্দুস সোবহান গোলাপ, মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, শামসুল হক টুকু, এ বি তাজুল ইসলাম, কর্নেল অব ফারুক খান, সৈয়দ আবু হাসান বাবলা, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য জিএম সিরাজ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, সাবের হোসেন চৌধুরী, ফজলে নূর তাপস, মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ অন্যান্য সংসদ সদস্যরা।

তারও আগে রোববার বাদ জোহর ঢাকা সেনানিবাস কেন্দ্রীয় মসজিদে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে এরশাদের মরদেহ নেওয়া হবে তার পৈতৃক বসতি রংপুরে। বাদ জোহর সেখানে জানাজা শেষে মরদেহ ঢাকায় এনে বাদ আসর সামরিক করবস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে। তবে দলটির রংপুরের নেতাকর্মীরা চান তাদের নেতার দাফন সেখানেই হোক। তারা এরশাদের পল্লীনিবাস বাসভবন সংলগ্ন লিচু বাগানে এরশাদের কবর খোঁড়ার কাজও শেষ করেছেন।