জামালপুরে বিনা-১০ধানের বাম্পার ফলন

ধান চাষের ক্ষেত্রে জামালপুর জেলা বিখ্যাত। এ জেলার কৃষকরা প্রায় সব উচ্চ ফলনশীল ধান চাষ করে থাকে। এবার মৌসুমে বিনা-১০ জাতের ধান চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছে। এবার যে পরিমাণ ফলন হয়েছে তা বিগত কোন মৌসুমে হয়নি। ফলন বেশি পাওয়ায় এ জাতের ধান চাষে ঝুকে পড়েছ।

জানা যায়,জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা। সরকারের কৃষক স্বনির্ভরতা ও গ্রামীন অর্থনীতি চাঙ্গা করার লক্ষ্যে লক্ষীরচর, রায়েরচর, টেবিরচর, তুলশীরচর, কাজিয়ারচর, চরগজারিয়া, রানাগাছা, সাহাবাজপুর, দিকপাইত, তিতপল্লা সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় বিনা-১০ ধানের চাষ প্রকল্প হাতে নেয়। কৃষি বিভাগ এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যপক সহায়তা করেছে। বিনা-১০ ধান চাষ সম্পর্কে লক্ষীরচরের কৃষক আইউব আলী(৪৮) জানান, এ ধান লবন সহিষ্ণু ও তীব্র তাপদাহে কোন ক্ষতি হয়না। তাছাড়া ধানে চিটা নেই বল্লেই চলে। ফলে বিনা-১০ ধান দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

সরকারের কৃষক স্বনির্ভরতা প্রকল্পে বিনা-১০ চাষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কৃষি বিভাগ মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপক ভাবে বাস্তবায়ন করেছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কৃষি বিভাগ ব্যপক উদ্যোগ নিয়ে ছিলো। মাঠ পর্যায়ে ব্যপক সহায়তা করায় ডাংধরা পাররামপুর, হাতীবান্দা, বগারচর, বাট্রাজোর, চিকাজানি, নাংলা, আদ্রা, মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। মহাদান গ্রামের কৃষক আবুল(৫০) ডাংধরা গ্রামের কৃষক কালাম শেখ(৪০) জানান বিনা-১০ ধান বিঘা প্রতি ৩০ থেকে ৩৫মন ধান হয়েছে। এ ধান সম্পর্কে তারা আরো বলেন,এ ধান চাষে কীটনাশকের ব্যবহার কম। তাছাড়া পোকা মাকুড় আক্রমন করতে পারে না বললেই চলে। তীব্র তাপদাহে ক্ষতি হয় না যার জন্যে বাম্পার ফলন হয়েছে। বিনা-১০ ধান গ্রামীন অর্থনীতি কে চাঙ্গা করে ফেলেছে।