জীব প্রেমী সাতক্ষীরার ডিবি’র ওসি ইয়াছিন আলম চৌধুরী

“জীবে দয়া করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর” ডিবি’র ওসি ইয়াছিন আলম চৌধুরী প্রমাণ করলেন তিনি এক জীব প্রেমী।

শনিবার (৩০ অক্টোবর) কমিউিনিটি পুলিশিং ডে ২০২১ উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালি ও আলোচনা সভা চলাকালীন সময়ে সাতক্ষীরা পৌর দীঘির পাড়ে মাছের অবাধ বিচরণ দেখে তার কৌতুহল জাগে। তিনি দ্রুত চলে যান দোকানে এবং সেখান থেকে ১ প্যাকেট মুড়ি নিয়ে মৎস্য প্রেমি ডিবি’র ওসি ইয়াছিন আলম চৌধুরী মাছদের মুড়ি খাওয়াতে শুরু করেন। তাকে দেখে বোঝা গেল তিনি একজন সদা হাস্যোজ্বল সাদা মনের মানুষ ও জীব প্রেমী। এসময় তার এ কর্মকান্ড দেখে সেখানে অনেক লোক সমাগম ঘটে।

জীবের আত্মারূপে স্রষ্টা স্বয়ং জীবের মধ্যেই অবস্থান করেন। তাই জীবের সেবা করলেই আসলে স্রষ্টারই সেবা করা হয়। বস্তুত জীবের প্রতি আন্তরিক না হলে সষ্ট্রার নৈকট্য লাভ করা সম্ভব নয়। স্বয়ং স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসার মাধ্যমেই কেবল স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ করা সম্ভব।

মহাবিশ্বে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে সবই স্রষ্টার সৃষ্টি। সমস্ত জীবজগৎ তিনিই সৃষ্টি করেছেন পরম যত্নে নিয়ে, যেমন পরম ভালোবাসায় তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে। তাঁর মহাশক্তির অন্ততঃ কিঞ্চিৎ ক্ষুদ্রাংশ শক্তি জীবজগতের তাঁর সৃষ্ট প্রত্যেক জীবের মধ্যেই বিরাজমান। অর্থাৎ জীবজগতের সবকিছুর মধ্যেই তাঁর শক্তির এবং তাঁর অস্তিত্বের উপস্থিতি রয়েছে। কাজেই প্রত্যেক জীবের প্রতি দয়া পদর্শন করা আমাদের প্রত্যেকেরই পরম কর্তব্য। কেননা জীবসেবা করলেই প্রকারান্তরে স্রস্টার সেবা করা হয়। প্রত্যেক জীবের প্রতি যত্নবান হলে এবং তাদের ভালোবাসলে, তবেই সৃষ্টিকর্তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করা হয়। সব পুলিশ যদি ইয়াছিন আলম চৌধুরীর মত হতো। তবে দেশ ও দেশের মানুষ আরো বেশি উন্নতি হতো।