জুলাই মাসে অনলাইন রিটার্ন দাখিলে সেরা কুমিল্লা কাস্টমস

জুলাই মাসে অনলাইন রিটার্ন জমায় আবারও সেরা হয়েছে কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট। জুলাইয়ে অনলাইনে ৯৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করতে সক্ষম হয় তারা। দ্বিতীয় হয় যশোর। তারা ৯৩.৫৩ শতাংশ ভ্যাট রিটার্ন দাখিল করে।

চলতি বছরের মে পর্যন্ত টানা ১০মাস রিটার্ন জমায় প্রথম হয় কুমিল্লা। মাঝে গত জুন মাসে ভগ্নাংশ ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় হয় তারা। প্রথম হয় যশোর। এরপর জুলাই মাসে পুনরায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কুমিল্লা।

গত অর্থবছরে ইতিহাসের সেরা ৩২২৫কোটি টাকা আদায় করে কুমিল্লা। এর আগে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ২৯৭৪কোটি টাকা আদায় হয়। বুধবার কুমিল্লা কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সহকারী কমিশনার (সদর দপ্তর) মোহাম্মদ ছালাউদ্দিন রিপন বলেন, বেনাপোল থেকে বদলি হয়ে কুমিল্লায় নতুন কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন বেলাল হোসাইন চৌধুরী। সেদিনই রাত ৮টায় দেড়শ কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়ে জুম সভা করে মুজিববর্ষে ব্যতিক্রমী সেবার আহ্বান জানান। বিস্তারিত পরিকল্পনা ব্যাখ্যা ও বাস্তবায়নের পদ্ধতি সমগ্র টিমকে জানিয়ে দেন। কুমিল্লা কমিশনারেটের নেয়া ব্যতিক্রমী উদ্যোগ কুমিল্লাকে সেরার আসন ধরে রাখতে উদ্বুদ্ধ করেছে। যার কারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সামগ্রিক রিটার্ন পেশের হার বাড়ছে।

কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কুমিল্লার কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, টিমের সকলের কর্মস্পৃহা, আন্তরিকতা ও কৌশলের কারণে আমরা বারবার চ্যাম্পিয়ন হচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাব।

কুমিল্লা কমিশনারেটের গত আগস্ট মাসে রিটার্ন দাখিলের হার ৯১ দশমিক ১৮শতাংশ, সেপ্টেম্বরে ৯৩ দশমিক ৮৭শতাংশ, অক্টোবরে ৯৪ দশমিক ১৬শতাংশ, নভেম্বরে ৯৩ দশমিক ৮০শতাংশ, ডিসেম্বরে ৯৪ দশমিক ৯৯শতাংশ, এ বছরের জানুয়ারিতে ৯৭দশমিক ০৯শতাংশ, ফেব্রুয়ারিতে ৯৭ দশমিক ২৮শতাংশ, মার্চে ৯৫ দশমিক ৪৭শতাংশ, এপ্রিলে ৯৬ দশমিক ০৮শতাংশ, মেতে ৮৮ দশমিক ৫৬শতাংশ,জুনে ৯৩ দশমিক ২৯শতাংশ ও জুলাইয়ে ৯৫ দশমিক ৩৩শতাংশ ।