টাইটানিকের জ্যাককে বাঁচাতে পারতেন রোজ! সেটা কী?

নব্বইয়ের দশকের সারা জাগানো হলিউড সিনেমা টাইটানিক। যারা চলচ্চিত্রটি দেখেছেন, জ্যাক-রোজের শেষ দৃশ্যটি হয়ত অনেকেরই হৃদয় ছুঁয়েছে। প্রেয়সী রোজকে বাঁচাতে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন জ্যাক। তখন অনেকেরই হয়ত আফসোস হয়েছিল এই নায়কের জন্য। কোনোভাবেই কী বাঁচানো যেতো না জ্যাককে?

উত্তর এসেছে ২০ বছর পর। ‘হ্যাঁ, বাঁচানো যেতো জ্যাককে!’

অস্ট্রেলিয়ার এক দল স্কুলশিক্ষার্থী খুঁজে বের করেছে সেই উপায়।

তার আগে চলুন, সেই মুহূর্তটিতে একবার ঘুরে আসি।

টাইটানিকের একটি কারুকার্য করা দরজার উপর ভাসছিলেন রোজ। চারদিকে সমুদ্রে ডুবে যাওয়া মানুষের আর্তনাদ। নিজেকে বাঁচানোর জন্য অন্যের উপর হামলা সবই চলছিল ওই মুহূর্তে। সেই পরিস্থিতি থেকে রোজকে ওই ভাঙ্গা দরজার উপর রেখে গান শুনাচ্ছিলেন জ্যাক। বরফ ঠাণ্ডা সমুদ্রের পানিতে এমন নির্লিপ্তভাবে ভেসে রোজকে গান শুনাচ্ছিলেন যেন, কিছুই হয়নি।

যারা এখনো টাইটানিক দেখেননি, তাদের জন্য বলছি- কেন সমুদ্রে ভেসেছিলেন জ্যাক। কারণ জ্যাক যদি ওই ভাঙ্গা দরজার টুকরোটার উপর উঠতেন, তাহলে সেটি ডুবে যেত। মারা যেতেন দু’জনেই। তাই শুধু প্রিয়তমা রোজকে বাঁচাতে নিজে সেই ঠাণ্ডা পানিতে ভেসে ছিলেন।

গান শুনতে শুনতে এক সময় ঘুমিয়ে পড়েন রোজ। যখন জেগে উঠেন, তখন জ্যাক আর এই পৃথিবীতে নেই! সেই দৃশ্যটি মনে দাগ কেটেছে অনেকের। আর তাই জ্যাককে বাঁচানোর কৌশল খুঁজে বের করার চেষ্টা করেছে সেই স্কুশিক্ষার্থীরা। অন্তত মনের শান্তির জন্যই!

এই গবেষণা দলে ছিলেন এডিলেডের ওয়েস্টমিনিস্টার স্কুলের তিন শিক্ষার্থী, এবিগেইল উইকস, ক্রিসটি ঝ্যাং ও জুলিয়া দেমাতো। তারা গাণিতিক সূত্র ব্যবহার করেছেন। যেটি ব্যবহার করলে এই প্রেমকাহিনী অনেক দুর গড়াতো! তাদের মতে, জ্যাক আর রোজ যদি একটি সহজ কৌশল ব্যবহার করতেন তাহলেই সমাপ্তিটা অন্য রকম হতো।

তাদের একজন ১৫ বছর বয়সী এবিগেইল ডেইলি টেলিগ্রাফকে জানিয়েছে, তারা অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। অনেকভাবে চেষ্টা করেছে যাতে ওই দরজাটির উপর জ্যাক-রোজ দু’জনই আশ্রয় দেয়া যায়। অবশেষে তারা সমাধান পেয়েছে।

সেটা কী?
‘জ্যাক আর যদি তাদের লাইফ জ্যাকেট ওই দরজাটির নিচে দিয়ে রাখতেন, তাহলে তারা দু’জনেই দরজাটির উপর ভেসে থাকতেন। দু’জনেই বেঁচে যেতেন।’

কিন্তু তেমনটা হয়নি। তাই যারাই যখন সিনেমাটি দেখবেন তারাই হয়ত এই দৃশ্যটি দেখে আফসোস করে বলবেন, ইস, যদি জ্যাককে বাঁচানো যেত!-ডেইলি মেইল