টিকটকের সাথে সিআইডি’র বৈঠক: অপরাধী ধরতে সহযোগিতা

দেশের আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কোনো কন্টেন্ট না দিতে টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। বৈঠকে সব ধরনের তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে সম্মত হয়েছে টিকটক।

সামাজিক মাধ্যমটির কমিউনিটি গাইডলাইন বাংলায় অনুবাদের কাজ চলছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিআইডি বলছে, তারা শিগগিরই বাংলাদেশে টিকটক ব্যবহার করে অপরাধ সংঘটনকারীদের তথ্য চাইবে।

টিকটকার হৃদয় বাবুর হাতে ভারতে পাচার হওয়া চার তরুণী সম্প্রতি পালিয়ে দেশে ফিরে মামলা করেন হাতিরঝিল থানায়। এরপর নারী পাচারের বড় নেটওয়ার্কের সন্ধান পায় পুলিশ। তদন্তে বেরিয়ে আসে টিকটককে পাচারের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতেন হৃদয় বাবু এবং তার সহযোগীরা।

টিকটক মডেল বানানোর ফাঁদে ফেলে নারীপাচারের চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয় আসার পর সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করে এমন কয়েকটি প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করে টিকটক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। ১৪ জুলাই পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি জুম বৈঠকে বসে।

বৈঠকে দেশের আইনে বৈধ নয় এমন কন্টেট আপলোডের ক্ষেত্রে যত্নবান হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়।

সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইডি কামরুল আহসান বলেন, আমাদের দেশের সংস্কৃতি, আইন, সামাজিক অবস্থা- এসব নিয়ে টিকটক কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। কারণ, তারা তো আমদের দেশের অবস্থা জানে না। তাই তাদের এই বিষয়গুলো জানানো হয়েছে।

ফলে সব ধরনের তথ্য দিতে টিকটক কর্তৃপক্ষ সম্মত হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।

এদিকে দেশে টিকটক ব্যবহার করে অপরাধের দায়ে মামলা হয়েছে ১৩টি। এরমধ্যে মানবপাচার আইনে চারটি, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পাঁচটি এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে শতাধিক ব্যক্তিকে।

এরমধ্যে শুধু হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা চারটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ২০ জন। ভারতে গ্রেপ্তার হয়েছে ১১ বাংলাদেশিসহ ১২ জন।

টিকটক, লাইকিসহ বিভিন্ন মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে যারা অপরাধ করছে তাদের তালিকাও তৈরি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।