টি-টেন লিগ চ্যাম্পিয়ন ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স

মাত্র ১০ ওভারের খেলা। এই ১০ ওভারেই রান যদি ওঠে ১৫৯, তাহলে প্রতিপক্ষের সেখানে অসহায় আত্মসমর্পন করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। দিল্লি বুলসের হয়েছে এই অবস্থা। আবুধাবি টি-টেন লিগের ফাইনালে ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স ১০ ওভারেই স্কোরবোর্ডে রান তুলেছে ১৫৯। জবাবে দিল্লি বুলস থেমেছে ১০৩ রানে। ৫৬ রানে দিল্লিকে হারিয়ে টি-টেন লিগের চ্যাম্পিয়নশিপের মুকুট পরলো ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্স।

অবশেষে দেখা গেলো আন্দ্রে রাসেলের সেই বিধ্বংসী রূপ। জ্বলে উঠলো তার ব্যাট। আইপিএল গেলো, বিশ্বকাপ টি-টোয়েন্টি গেলো, রাসেলের ব্যাট জ্বলে ওঠে না। উঠলো এমন এক সময়ে, যখন তার দলের এই জ্বলে ওঠাটা খুব প্রয়োজন ছিল। একেবারে ফাইনালে।

দিল্লি বুলস অধিনায়ক ডোয়াইন ব্র্যাভো কোন দুঃখে যে টস জিতে ফিল্ডিং নেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন! ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান তিনি ডেকান গ্ল্যাডিয়েটর্সকে। মাত্র ১০ ওভারের ম্যাচ। দুই ওপেনার আর কাউকেই মাঠে নামতে দিলেন না।

ইংলিশ ক্রিকেটার টম কোহলার ক্যাডমোর আর আন্দ্রে রাসেল মিলে যে ঝড় তোলেন, তাতেই বিধ্বস্ত দিল্লি বুলস। দু’জন মিলেই স্কোরবোর্ডে যোগ করে ফেলেন ১৫৯ রান। ৩২ বলে ৯০ রানে অপরাজিত থাকেন আন্দ্রে রাসেল। ৯টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মারেন ৭টি।

ক্যাডমোর খেলেন ২৮ বল। তিনি করেন ৫৯ রান। ৩টি বাউন্ডারির সঙ্গে ছক্কার মার মারেন তিনি ৫টি। মাত্র ১০ ওভারের ম্যাচে হলো ছক্কাবৃষ্টি। মোট ১২টি ছক্কা মেরেছেন দুই ব্যাটসম্যান। বাউন্ডারিও মেরেছেন ১২টি। অর্থ্যাৎ ৬০ টির মধ্যে ২৪বারই বাউন্ডারির বাইরে গেছে বল।

জবাব দিতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দিল্লি বুলস। শুধুমাত্র চন্দরপল হেমরাজ একটু প্রতিরোধ গড়েন। ২০ বলে তিনি করেছিলেন ৪২ রান। রহমানুল্লাহ গুরবাজ ৬ বলে করেন ১৪ রান। ইয়ন মরগ্যান করেন ৮ বলে ১৩ রান এবং শেষ দিকে আদিল রশিদ ৯ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ১০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১০৩ রানেই থেমে যায় দিল্লি। ২টি করে উইকেট নেন টাইমাল মিলস, ওয়ানিদু হাসারাঙ্গা এবং ওডেন স্মিথ। ১ উইকেট নেন আন্দ্রে রাসেল।