ডাক্তারি পাস করার দুইদিন পর না ফেরার দেশে শাওন

ঘটনার দুই দিন আগে (৭ নভেম্বর) এমবিবিএস পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে হাবিবুল কারিম শাওন পাসও করেছিলেন। ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নও তার পূরণ হয়েছে। কিন্তু সেই স্বপ্ন বাস্তবে ডানা মেলার আগেই সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন তিনি।

তার এই প্রস্থানে ব্যথিত বন্ধু, স্বজন, আত্মীয় সবাই। শুক্রবার দিবাগত রাতে যশোর শহরের ঘোপ এলাকার বাসায় অসুস্থ হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অবনতি হলে শনিবার বিকালে তাকে খুলনার ফরটিস স্কোয়ার্ড হসপিটালে পাঠানো হয়। সেখানে সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।

শাওন যশোর মেডিকেল কলেজ থেকে সদ্য এমবিবিএস পাস করেছে। তিনি ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও যশোর জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি। তার বাড়ি শেরপুর জেলার নকলা উপজেলার দড়িয়াচর গ্রামে।

শাওনের বন্ধু ডা. ফয়সাল কবীর জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে যশোর শহরের বাসায় অসুস্থ হয়ে পড়ে হাবিবুল কারিম শাওন। বমি, পাতলা পায়খানা ও বুকের ব্যাথা নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। ওই রাতে জরুরি বিভাগ থেকে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার দুপুরে চিকিৎসকরা তাকে খুলনা ফরটিস স্কোয়ার্ড হসপিটালে স্থানান্তর করেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

ফয়সাল কবীর জানান, খুলনা থেকে শাওনের মরদেহ শেরপুরে গ্রামের বাড়িতে নেওয়া হয়েছে। দুই ভাইবোনের মধ্যে শাওন বড় ছিল।

ছাত্র ফেডারেশনের যশোর জেলা সভাপতি মামুন হোসেন জানান, ছাত্র ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন ডা. শাওন। এর আগে তিনি যশোর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন। তার অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।

যশোর মেডিকেল কলেজের বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রভাষক নাজমুস সাদিক জানান, শাওন মেধাবী ছাত্র ছিল। মৃত্যুর দুইদিন আগে এমবিবিএস পাস করেছে। ক’দিন পরই তার ইন্টার্ন ডাক্তার হিসেবে যোগদানের কথা ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমরা ব্যথিত।