ঢাকায় সবজি আনতে চাঁদাবাজি হয় : সংসদে কৃষিমন্ত্রী

দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে রাজধানীতে শাক-সবজি নিয়ে আসার সময় অনেক স্থানে চাঁদাবাজি হয় বলে স্বীকার করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে এসব তথ্য জানান তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সংসদ সদস্যদের (এমপি) প্রশ্নের জবাব দেন তিনি।

সংরক্ষিত আসনের এমপি আদিবা আঞ্জুম মিতা সম্পূরক প্রশ্নে জানতে চান, ঢাকার বাইরে থেকে সবজি আনার সময় চাঁদা আদায় করার ফলে ঢাকায় এসে দাম বেড়ে যায়। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কী না?

জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চাঁদাবাজির বিষয়টি মনিটরিং করে আসছে। বিভিন্ন পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠন নানা কারণে চাঁদা সংগ্রহ করে। সবজি পরিবহনের সময় চাঁদা আদায়ের বিষয়টিতে আমি দ্বিমত পোষণ করছি না। এটা সত্য যে, কিছু কিছু পয়েন্টে চাঁদাবাজি হয়। চাঁদা আদায়ের ঘটনা ঘটছে। সেগুলো নিয়ন্ত্রণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।’

এ ছাড়া এমপি নুরুন্নবী চৌধুরীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেন কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘রমজানকে কেন্দ্র করে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক হবে না।’

মন্ত্রী আরও জানান, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ছিল ২১ দশমিক ৭৯ শতাংশ। চলতি বছরে কৃষিপণ্য রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৭১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘চালের দাম বৃদ্ধির জন্য চাল রপ্তানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানতে আরও এক /দেড় মাস অপেক্ষা করতে হবে।’

এ সময় এমপি সহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ সাত হাজার ৭৪৮ দশমিক দুই মিলিয়ন মার্কিন ডলার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের ৮৭৩ দশমিক তিন মিলিয়ন ডলার রপ্তানির বিপরীতে আমদানির পরিমাণ আট হাজার ৬২১ দশমিক পাচঁ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সার্কভুক্ত অন্য দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি রয়েছে। এর মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে ৪৭১ দশমিক চার মিলিয়ন ডলার, ভুটানের সঙ্গে ২৭ দশমিক নয় মিলিয়ন ডলার, শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ১৬ দশমিক দুই মিলিয়ন ডলার, মালদ্বীপের সঙ্গে ১২ দশমিক নয় মিলিয়ন ডলার ও আফগানিস্তানের সঙ্গে দুই মিলিয়ন ডলার।