ঢাকা ছাড়লেন পোপ

তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফর সফর শেষে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে চড়ে ঢাকা ত্যাগ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। শনিবার বিকেল ৫টা ৫ মিনিটে পোপকে বহনকারী বিমানের বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে।

গত বৃহস্পতিবার বেলা ৩টার দিকে তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেন ক্যাথলিক সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। বিমানবন্দরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ অভ্যর্থনা জানান পোপ ফ্রান্সিসকে। সেখানে পোপকে গার্ড অব অনার দেয়া হয়। এর আগে তিনদিনের তিনি সফরে মিয়ানমার গিয়েছিলেন।

পোপ তার এ সফরকালে রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশা দূর করতে মানবিক সহায়তা নিয়ে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্বের প্রতি আহ্বান জানান। দ্রুত এ সংকট সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অনুরোধও করেন তিনি।

সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ধর্মীয় উৎসব ‘হোলি মাস’-এ তিনি অংশ নেন। এ উৎসবে অংশ নেন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ৮০ হাজারেরও বেশি ক্যাথলিক খ্রিষ্টন।

এরপর বিকেলে রাজধানীর কাকরাইলে আর্চ বিশপস আন্তধর্মীয় ও আন্তমাণ্ডলিক সমাবেশে নির্যাতিত রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ১৮ জনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি।

এসময় তারা পোপের কাছে তাদের নির্যাতন ও দুর্দশার বর্ণনা দেন। এর আগে কক্সবাজারের আশ্রয়শিবির থেকে ঢাকায় আনা হয়েছিল তিন পরিবারের ওই ১৮ রোহিঙ্গাকে। সরকারের অনুমতি নিয়ে এই রোহিঙ্গাদের ঢাকায় নিয়ে আসে বেসরকারি সংগঠন কারিতাস।

পোপোর এ সফর ছিল দুই পরিচয়ে। প্রথমত, ৩১৯ একর আয়তনের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে তিনি সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

দ্বিতীয়ত, রোমান ক্যাথলিক গির্জার মহামহিম ও সর্বজনীন যাজক হিসেবেও পোপ ফ্রান্সিস এ সফরে আসেন। ১৯৮৬ সালে দ্বিতীয় পোপ জন পলের সফরের সময় আর্মি স্টেডিয়ামে প্রায় ৫০ হাজার ক্যাথলিক খ্রিষ্টানের সমাগম ঘটেছিল। এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে খ্রিষ্টধর্মীয় উপাসনা ও যাজকদের অনুষ্ঠানে যোগ দেন পোপ ফ্রান্সিস।