ঢিলেঢালা ভাবে পালন হলো জনদাবি পার্টির হরতাল

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য, জ্বালানি তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম এবং গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ জনদাবি নিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ডাকা হরতাল পালন করা হয়েছে অনেকটা ঢিলেঢালাভাবে। হরতালেও যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। রাজধানীর পল্টন মোড়ে বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। তবে মোড়ের প্রায় সব রাস্তাতেই চলে গাড়ি। আর মাঝখানে বক্তব্য-স্লোগানে হরতাল পালন করেন তারা।

তবে হরতালে গতকাল থেকে জোটের ৫ নেতাকর্মী আটক হয়েছেন এবং ১০ থেকে ১২ জন আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন জোটের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর পল্টন মোড়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের হরতাল পরবর্তী সমাবেশে নেতারা বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বাংলাদেশের অধিকাংশ জনগণ এই হরতালকে সমর্থন করেছে। সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে জ্বালানির দাম আবার বাড়িয়ে আগুনে ঘি ঢেলে দিলো। কৃষকের উৎপাদনে ধস ডেকে আনলো যাতে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানি করা যায়। এই সরকার লুটপাট করে এবং লুটেরাদের লুটপাটের সুযোগ করে দিয়ে ক্ষমতায় আছে।

তিনি দেশবাসীকে রাজপথে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আগামীতে আমরা অবরোধের মতো কর্মসূচি দেবো।

বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, সারাদেশে হরতাল পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা। এতে পুলিশ ও সরকারদলীয় সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতাকর্মীদের উপর হামলা করেছে। আমাদের বেশ কয়েকজন নেতা আটক হয়েছেন। জনগণ সমর্থন দিয়েছে আজকের হরতালে। নানা কারণ দেখিয়ে সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম কমে তখন আমাদের দেশে দাম কমে না। জনগণের টাকা লুট করছে মুনাফালোভীরা।

সিপিবির সভাপতি শাহ আলম বলেন, ৯৫ ভাগের অর্থনীতি এক ধরনের আর ৫ ভাগের অর্থনীতি অন্য ধরনের। সরকার ৫ ভাগের অর্থনীতির পক্ষে। যে নীতিতে অর্থনীতি চলছে তাতে দাম কমবে না। তাই দরিদ্রদের মাঝে রেশনিং পদ্ধতিতে চাল, ডালসহ পণ্য বিতরণ করুন।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবির সহ-সভাপতি মিহির ঘোষ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদের সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদ (মার্ক্সবাদী) মাসুদ রানা, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ অব বাংলাদেশের আব্দুস সাত্তার প্রমুখ