তদন্ত থামাতে ২০ লাখ টাকা দাবি, দুদক কর্মকর্তা কারাগারে

চট্টগ্রামে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে করা মামলায় দুদকের এএসআই কামরুল হুদাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে পাঠান।

এর আগে শনিবার রাত ১০টার দিকে নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকায় একটি রেস্তোরাঁ থেকে কামরুল হুদাকে আটক করে পুলিশ। তার বাড়ি কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায়। তিনি দুদকের এএসআই হিসেবে কুমিল্লায় কর্মরত আছেন।

পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির মামলার আসামি দুদক এএসআই কামরুল হুদাকে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। সোমবার তার রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হবে। পরিমল ধর নামের এক গয়না ব্যবসায়ী অভিযোগ করার পর পুলিশ কামরুল হুদাকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় গয়না ব্যবসায়ী বাদী হয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে মামলা করেন।

পুলিশ জানায়, নগরের গয়না ব্যবসায়ী পরিমল ধরকে দুদক কর্মকর্তা কামরুল হুদা জানান তার বিরুদ্ধে দুদকে একটি অভিযোগ জমা হয়েছে। সেটির তদন্ত শুরু হবে। এটির তদন্ত বন্ধ করতে হলে ২০ লাখ টাকা দিতে হবে। টাকার ফয়সালা করতে শনিবার রাতে পরিমাল ধরের সঙ্গে দেখা করতে আসেন কামরুল হুদা। নগরের একটি রেস্তোরাঁয় বৈঠকের আগে পরিমল ধর বিষয়টি পুলিশকে অবগত করেন। রেস্তোরায় পরিমল ধরের সঙ্গে কামরুল দেখা করতে আসার পর কথোপকথনোর সময় পুলিশ হাজির হয়ে হাতেনাতে কামরুলকে ধরেন। তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যান। পরে রাতে মামলা দায়ের হয়।