তিন বাংলাদেশির ‘স্ট্যাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডস’ অর্জন

তিনজন বাংলাদেশি স্ট্যাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডস অর্জন করেছে। বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন ইউনিভার্সিট অব সাউদাম্পটন থেকে স্নাতকপ্রাপ্ত অধ্যাপক খোন্দকার এ. মামুন।

তিনি একজন বিশিষ্ট এআই গবেষক এবং ইউআইইউ-তে এইমস ল্যাবের প্রতিষ্ঠাতা। সায়েন্স অ্যান্ড সাস্টেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ডের বিজয়ী হয়েছেন লন্ডন স্কুল অব হাইজিন অ্যান্ড ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং কিংস কলেজ লন্ডন থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা ডা. কামরুন কলি।

তিনি একজন সহযোগী বিজ্ঞানী ও মানসিক স্বাস্থ্য গবেষক। সোশ্যাল অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয় ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে স্নাতকপ্রাপ্ত মোহাম্মদ তাকি ইয়াসিরকে। তিনি একাধারে বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত, অন্যদিকে একজন আইনজীবী, প্রভাষক, উদ্যোক্তা। তিনি টেকসই কমিউনিটি-কেন্দ্রিক উদ্যোগ নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘ফুটস্টেপস’-এর প্রতিষ্ঠাতা।

গতকাল ঢাকায় ব্রিটিশ কাউন্সিল আয়োজিত স্ট্যাডি ইউকে অ্যালামনাই অ্যাওয়ার্ডস ২০২৩-২৪ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ‘সায়েন্স অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি অ্যাওয়ার্ড,’ ‘সোশ্যাল অ্যাকশন অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘বিজনেস অ্যান্ড ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’–এ তিনটি বিভাগে বিজয়ী নির্বাচন করেন এ অ্যাওয়ার্ডের বিচারক প্যানেল।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা এবং এই স্বপ্ন পূরণে আমাদের প্রয়োজন ‘স্মার্ট সিটিজেন’।

স্মার্ট সিটিজেন গড়তে সবার জন্য সঠিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে, কারণ শিক্ষা ছাড়া কোনো উদ্ভাবন বাস্তবে রূপ দেওয়া সম্ভব নয়। সকলের জন্য উন্নত শিক্ষা নিশ্চিত করার এই প্রয়াসে আমাদেরকে নিরলস সহায়তা করার জন্য ব্রিটিশ কাউন্সিল ও যুক্তরাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তাদের গৃহীত পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি-বেসরকারি খাত ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করা প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষা ও সেখানে শিক্ষাপ্রাপ্ত বিশ্বব্যাপী প্রাক্তন সকল শিক্ষার্থীদের অর্জন উদযাপন করে আয়োজিত হয় সম্মানজনক এ আন্তর্জাতিক অ্যাওয়ার্ড। দশম বছরে পা দেয়া এবারের সংস্করণে প্রায় ১শ’টি দেশের ইউকে অ্যালামনাই এবং যুক্তরাজ্যের ১৪০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ১ হাজার ৪৫০ জনের বেশি আবেদনকারীর মধ্য থেকে বিজয়ী নির্বাচন করা হয়।