তীব্র গরমে কদর বেড়েছে তাল শাঁসের

প্রতিনিতই বাড়চ্ছে তাপদাহ, তীব্র গরমে কর্মে স্থবিরতা এসেছে। হাঁসফাঁস করতে থাকেন মানুষ। তীব্র গরমে একটু স্বস্থি পেতে মানষ নানা রকম ফল খাচ্ছেন।

এসব ফলের তালিকায় রয়েছে তালের শাঁসও। জালমুক্ত ও সুস্বাদু তালের শাঁস সতেজ রাখে শরীর-মনকে। বেলকুচি উপজেলার হাটবাজারে তালের শাঁসের বেশ কদর বেড়েছে। সরেজমিনে বাজার ঘুরে দেখা যায়, মধুমাসের ফল আম, কাঁঠাল, লিচুসহ সবরকম ফল ইতিমধ্যে বাজারে এসেছে। তেমনি এ গরমে প্রত্যেক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কচি তাল।

কচি তালের শাঁস পছন্দ করে না, এমন মানুষ খবই কম। এছাড়া পুষ্টিগুণে ভরপুর মানব দেহের জন্য উপকারী তালেরশাঁস গরমে মানুষের কাছে বেশ প্রিয়। মৌসুমি ফল হিসেবে তালের শাঁস অবদান রাখছে গ্রামীণ অর্থনীতিতে।

যদিও বেলকুচি উপজেলায় তালের গাছ তেমন নেই, বিভিন্ন অঞ্চলে থেকে আমদানি করে আনতে হয়। বেলকুচির গ্রাম অঞ্চলে তাল গাছের সংখ্যা খুবই কম। পৌর সদরে মুকন্দগাঁতী ও চালা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, সারি সারি সাজানো কচি তাল।

সেখানে খুচরা বিক্রেতাদের কচি তাল বিক্রি করতেও দেখা গেছে। তবে খুচরা বিক্রেতারা চড়া দামে বিক্রি করছে তালশাঁস। এ সময় কথা হয় খুচরা বিক্রেতা সাইদুল ইসলামের সাথে তিনি বলেন, বছরের অন্যান্য সময় দিন মজুরের কাজকর্ম করলেও এ সময় তিনি আরও একজনকে সাথে নিয়ে তালের শাঁসের ব্যবসা করে থাকেন।

অন্য বছরের তুলনায় পাইকারি বিক্রেতাদের নিকট থেকে চড়া দামে তাঁদের শাঁস কিনতে হচ্ছে। যার ধরুন বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। একটি তাল বিক্রি হচ্ছে ১৫-২০ টাকায়, আকারে বড় তাল ২০-২৫ টাকায়ও বিক্রি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

প্রতিদিন ১ থেকে ২ হাজার টাকার তালশাঁস বিক্রি করি। এতে ৫ থেকে ৬শত টাকা মত লাভ হয়ে থাকে, আর এই আয়টুকু দিয়ে সংসারটা আমাদের মোটামুটি ভালো ভাবেই চলে যায়।