তেঁতুলিয়ায় অবৈধভাবে আসা ভারতীয় ২৭ গরু উদ্ধার

সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসতে শুরু করেছে ভারতীয় গরু। এক শ্রেণীর চোরাকারবারিরা অবৈধভাবে এসব গরু নিয়ে আসছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই চক্রটি। ইতোমধ্যে হাটবাজারগুলোতে কোরবানির গরু উঠতে শুরু করেছে।

প্রথমদিকে দেশীয় গরু বাজারে উঠলেও ক্রমশ বাড়ছে ভারতীয় গরুর সংখ্যা। তারই ধারাবাহিকতায় পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলার ভুতিপুকুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারত থেকে আসা ২৭টি ভারতীয় গরু আটক করেছে। তেঁতুলিয়া মডেল থানার এসআই ইয়াকুব আলীর নেতৃত্বে সঙ্গীয় ফোর্সসহ ভুতিপুকুর গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে পলাতক আসামী তসলিম উদ্দিনের বসতবাড়ি থেকে উক্ত চোরাই গরু উদ্ধার হয়।

রোববার (৪ জুলাই ২০২১) রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তঘেঁষা ভুতিপুকুর এলাকা থেকে গরুগুলো উদ্ধার করা হয়। তবে তসলিম উদ্দিনসহ গরু চোরাকারবারিরা তাৎক্ষণিক পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা রুজু করা হয়েছে।

সীমান্তবর্তী এলাকাবাসি সূত্রে জানাযায়- উপজেলার দেবনগড় ইউপির নন্দগছ সীমান্ত, শিবচন্ডী সীমান্ত, ভজনপুর ইউপির ভুতিপুকুর সীমান্ত, বুড়াবুড়ি ইউপির লালগছ সীমান্ত, তেঁতুলিয়া ইউপির সারিয়ালজোত সীমান্ত, বাংলাবান্ধা ইউপির ধাইজান সীমান্তসহ আরো কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু ছায়েম মিয়া জানান, কোরবানির পশুর হাটকে কেন্দ্র করে তেঁতুলিয়ার বিভিন্ন সীমান্তে চোরাকারবারিরা সক্রিয় হতে শুরু করেছে। চোরাই পথে ভারতীয় গরু ভুতিপুকুর দিয়ে নিয়ে আসা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ওই এলাকার তসলিম উদ্দিনের বসতবাড়ি থেকে ২৭টি ভারতীয় গরু উদ্ধার করা হয়। গরুগুলো এখন থানার হেফাজতে রয়েছে। সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারিদের গ্রেপ্তারের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গরুগুলোর আনুমানিক মূল্য ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা ধরা হয়েছে জানিয়েছেন।