দামুড়হুদায় পরকীয়ায় প্রতিবাদ করায় কুপিয়ে জখম

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমের প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্যে পিস্তল ঠেকিয়ে তুলে নিয়ে মজিবার রহমান নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। বেধড়ক পিটিয়ে আহত করা হয়েছে তারই চাচাতো ভাই খোকন আলীকে।

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার নতিপোতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আনসার আলী নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

আহতরা হলেন- নতিপোতা গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মৃত শমসের আলীর ছেলে মজিবার রহমান (৪৫) ও একই গ্রামের আনসার আলীর ছেলে খোকন আলী (৪০)। তাদের চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বছর খানেক ধরে নতিপোতা গ্রামের বসতিপাড়ার এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে একই গ্রামের দক্ষিণপাড়ার মজিবারের ছেলে জিনারুলের অবৈধ সম্পর্ক চলছিল। বিষয়টি গ্রামে জানাজানি হলে অলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠে। এ নিয়ে মঙ্গলবার রাতে এলাকার চায়ের দোকানে জিনারুলের সাথে খোকনের বাগবিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি স্থানীয়রা মিটিয়ে দেন।

আহত খোকন আলী জানান, বিষয়টি স্থানীয়রা মিটিয়ে দিলেও কিছুক্ষণ পর বাড়ি ফেরার সময় দক্ষিণপাড়া মসজিদের সামনে থেকে মজিবারের ছেলে জিনারুল আমাকে ও আমার চাচাতো ভাই মজিবারকে পিস্তল দেখিয়ে জোরপূর্বক ধরে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।

এ সময় জিনারুলের বাবা মজিবর ও তার দুই ভাই জিল্লু ও মিনারুল, দুলালের ছেলে রাজা ও কালিয়াবকরী গ্রামের মৃত পাথারের ছেলে মিজারসহ বেশ কয়েকজন আমাদের দুজনকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটাতে থাকেন। এক পর্যায়ে জিনারুল ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মজিবারের মাথায় কোপ দিলে গুরুতর জখম হয় মজিবার। পুলিশ আসতে দেখে আমাকে ছেড়ে দিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে মজিবার এবং আমাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেয় স্বজনরা। এ ঘটনায় আজ থানায় গিয়ে আমরা মামলা করব।

তিনি আরও জানান, তারা এলাকার কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তাদের কাছে পিস্তল ও শটগানসহ ভারী অস্ত্র আছে।

সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকিল আর সালান জানান, মজিবারের মাথায় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে জখম করা হয়েছে। তিনি এখনও শঙ্কামুক্ত নন। সিটি স্ক্যানের পর বোঝা যাবে তিনি শঙ্কামুক্ত কিনা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। পরে অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে আনসার আলীকে আটক করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ থানায় এসে অভিযোগ করেনি।

তিনি আরও জানান, নতিপোতা গ্রামের জিনারুল ইসলাম ও তার ফুফাতো ভাই মিজার পুলিশের তালিকাভুক্ত কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও চিহ্নিত চাঁদাবাজ। তাদের নামে দামুড়হুদা মডেল থানা, মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।