দিনাজপুরে দেহ ব্যবসা ও মানবপাচারের অভিযোগে আটক ৪ নারী

ঈদ যত এগিয়ে আসছে দিনাজপুর শহরে প্রায় ২ শতাধিক বাড়িতে অনৈতিক কার্যকলাপসহ ব্লাকমেইল করে অর্থ আদায়ের ব্যবসা জমজমাট হয়ে উঠছে।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাচার করে আনা উঠতি ও সুন্দরী মেয়েদের অনৈতিক কার্যকলাপে (পতিতাবৃত্তিতে) জড়িয়ে অশ্লীল ও নীল ছবি তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়া চক্রটির ৪ জন নারীকে দেহ ব্যবসা ও মানবপাচারের অভিযোগে আটক করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ। শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে তাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল—হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে দিনাজপুর শহরের লালুপাড়া শেরশাহ বটতলী থেকে একটি আবাসিক ভবন থেকে তাদের আটক করে পুলিশ। এই ঘটনায় আটককৃত ৪জনসহ পলাতক আরও একজন নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে থানায় মামলা করে পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন, দিনাজপুর পৌর ৬নং ওয়ার্ডস্থ লালুপাড়া শেরশাহ বটতলী এলাকার উমর ফারুক ও সালমা ফারুকের মেয়ে এবং আব্দুল বারীর স্ত্রী দেহ ব্যবসা ও মানবপাচারের প্রধান মোছা. সাজিয়া ওরফে উর্মি (৩২), পৌর ৮নং ওয়ার্ডস্থ বালুবাড়ি পানির ট্যাংকি মোড় এলাকার বাসিন্দা আক্তারুজ্জামান সুভনের স্ত্রী নবমুসলিম ফাতেমা বেগম ওরফে বর্না (৩০), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার চরবাদুর তলা এলাকার মৃত আব্দুল বারেকের মেয়ে আলেয়া খাতুন (২৭), চট্রগ্রামের পাহারতলী ঈদগাহ বউ বাজার এলাকার মো. ইসহাকের মেয়ে নাদিয়া আফরিন (২২) ও পলাতক লালুপাড়া শেরশাহ বটতলী এলাকার উমর ফারুকের স্ত্রী এবং আটক মোছা. সাজিয়া ওরফে উর্মির মা সালমা ফারুক (৪৫)।

দিনাজপুর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) এএফএম মনিরুজ্জামান মন্ডল জানান, শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি যে শহরের লালুপাড়া শেরশাহ বটতলী এলাকার আটককৃত উর্মির বাড়িতে পতিতাবৃত্তির লক্ষ্যে যৌন শোষণ বা নিপিড়নের জন্য কয়েকজন নারী জেলার বাহির থেকে এনে গোপনে পতিতালয় পরিচালনা করা এবং পতিতা বৃত্তির উদ্দেশ্যে কয়েকজন নারীদের দিয়ে খদ্দেরকে ডেকে এনে দেহ ব্যবসা করে আসছে। এতে রাতেই কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশে উক্ত বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪জন নারীকে হাতে নাতেই আটক করতে সক্ষম হই। তবে এ ঘটনায় আটককৃত উর্মির মা সালমা ফারুক কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে তিনি নিজেই বাদী হয়ে ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। মামলা নং—৪৩। এরপর আটককৃত নারী পতিতাদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।