দিনে পেশাজীবী, রাতে ডাকাতি

দিনের বেলায় তারা সিএনজিচালক, সবজি বিক্রেতা, রংমিস্ত্রি, মুদি দোকানি, অনলাইনে ফুড ডেলিভারিসহ নানা পেশায় জড়িত। পেশায় আয় কম হওয়ায় একত্রিত হয়ে বেছে নেন ডাকাতি।

দিনে এসব নানা পেশার আড়ালে বিভিন্ন বাসা-বাড়ি রেকি করতেন সহজেই। আর রাত হলেই টার্গেট অনুযায়ী নেমে পড়তেন ডাকাতিতে।

অস্ত্র হাতে লুট করে নিতেন বাসা-বাড়িতে থাকা মূল্যবান সামগ্রী।
সম্প্রতি রাজধানীর মোহাম্মদপুর ও কেরানীগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে দুর্ধর্ষ এ ডাকাত চক্রের সন্ধান পায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

সোমবার (৩০ মে) মোহাম্মদপুরের বছিলায় ডাকাতির প্রস্তুতিকালে ওই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করে ডিবি তেজগাঁও বিভাগ।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. সুজন হাওলাদার (৩২), রবিউল আউয়াল ওরফে রবি (১৯), মো. বাবু ওরফে জুয়েল (২২), মো. রনি (১৯), একরাম আলী (৩৩) ও ইব্রাহিম মিঝি (২০)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে একনলা বন্দুক, ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা, চাপাতি, লোহার তৈরি দুটি ছোরা, লোহার রড, পাইপ কাটার রেঞ্জ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (৩১ মে) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিবি উত্তরের যুগ্ম-কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, সিএনজিচালক, অনলাইনভিত্তিক ফুড ডেলিভারি ম্যান, রংমিস্ত্রি, মুদি দোকানের কর্মচারীসহ বিভিন্ন পেশার আড়ালে ডাকাত দলের সদস্যরা বাসা রেকি করে তথ্য সংগ্রহ করে। এরপর রাতের অন্ধকারে ডাকাতির উদ্দেশে সেসব বাসায় ঢুকে লুটপাট করে।

সম্প্রতি রাজধানী মোহাম্মদপুরে এক ব্যবসায়ীর বাসাসহ সাভারে ধামরাই, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জের কয়েকটি ডাকাতির সঙ্গে জড়িত এ চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় দুটি ডাকাতি মামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, চক্রের ১৫ থেকে ১৬ সদস্যের সবাই নানা পেশায় জড়িত। এ পেশার আড়ালে থেকেই তারা ডাকাতি করে আসছে।

চক্রটির মূলহোতা সাদ্দাম হোসেন পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।