সরকারি কলেজের প্রাক্তন ছাত্র

দুটি কিডনিই নষ্ট কলারোয়ার বাদশার, সহায়তা কামনা

দুটি কিডনি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কলারোয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি ১৯৯৬ ব্যাচের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র আলমগীর কবির বাদশা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এই মুহূর্তে জরুরী ভিত্তিতে তার কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। এর জন্য তিনি সকলের কাছে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা কামনা করেছেন।
আলমগীর কবির বাদশা বর্তমানে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। যতোটুকু বেতন-ভাতা পান তাতে সংসার চালানো তো দূরের কথা, তিনি নিজের চিকিৎসা করতেও পারছেন না। এরমধ্যে কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য অনতিবিলম্বে তার প্রচুর টাকার প্রয়োজন।

জানা গেছে, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এসএসসি ১৯৯৪ ব্যাচের ছাত্র, ১৯৯৬ সালে কলারোয়া সরকারি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন আলমগীর কবির বাদশা। ২০০০ সালে তৎকালীন পটুয়াখালী জেলার দুমকি কৃষি কলেজ হতে কৃষিতে অনার্স পাস করে পরবর্তীতে সাতক্ষীরা সিটি কলেজের শিক্ষক হিসেবে অদ্যবধি কর্মরত আছেন। তিনি চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদী গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে।

অসহায় শিক্ষক আলমগীর কবির বাদশা ও তার বন্ধু সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার আক্তারুজ্জামান জানান, ‘বিগত প্রায় ২০ বছর যাবত আলমগীর কবির অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত। সর্বশেষ গত এক বছর যাবত ক্রোনিক কিডনি ডিজিজে ভুগছেন এবং বর্তমানে তার দুইটা কিডনি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। যার ফলে অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা কিডনি ডায়ালাইসিস এর মাধ্যমে তার চিকিৎসা চলছে। এই মুহূর্তে জরুরী ভিত্তিতে তার কিডনি প্রতিস্থাপন প্রয়োজন, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। দেশে কিডনি ডোনার না পাওয়ার ফলে কিডনি প্রতিস্থাপন করতে তাকে ভারতে পাঠানোর জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে তার চিকিৎসা বাবদ প্রচুর খরচ হওয়ায় সে এখন নিঃস্ব ও অসহায়।’

তার ছোট দুইটি ছেলে বর্তমানে স্কুলে পড়ছে। তাদের ভবিষ্যৎ লেখাপড়াও প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম।

মানবিক কারণে চিকিৎসা খরচের সহায়তার জন্য সমাজের বিত্তবান ও পরিচিত-অপরিচিত সকলের কাছে আলমগীর কবির বাদশা বিনীত আহ্বান জানিয়েছেন।

সহযোগিতার জন্য যোগাযোগ:
মো. আলমগীর কবির বাদশা
মোবাইল নং- ০১৭১৬-০৪০৭৮৫ (বিকাশ)।
একাউন্ট নং- ২৮১০০০২০৭৬২৮৯
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড, কামাননগর শাখা, সাতক্ষীরা।

মেডিকেল রিপোর্ট দেখতে এখানে ক্লিক করুন