দেশব্যাপী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধনের একবছর

বিধান মুখার্জী, গণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি : গুলশান ট্র্যাজেডির একমাস পর সারাদেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পালিত দেশের স্মরণকালের বৃহত্তম জঙ্গিবাদ বিরোধী মানববন্ধন ও র্যাদলীর এক বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল। একবছর আগের এই ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন দেশের শিক্ষার্থীরা।আর তাই সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মতামত জানার চেষ্টা করছেন আমাদের প্রতিনিধি বিধান মুখার্জী।

গতবছর ১ আগস্ট গুলশান হামলার একমাস পূর্তি এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তরুণদের প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের সরকারি বেসরকারি মোট ১৩৪ টি বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ের এক হাজার ৩০০ মাদ্রাসা এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত দুই হাজার ১০০ কলেজে একসাথে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

‘২০১৬ সালের ১ জুলাই গুলশান হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল সারা দেশ। স্বাধীনতার পর এদেশের মানুষ এমন সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার সাক্ষী হননি আগে। টেলিভিশনে খবর দেখে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেছিলাম। মনে হচ্ছিল দুঃস্বপ্ন দেখছি, ঘুম ভাঙলেই সব ঠিক হয়ে যাবে’। কথাগুলো বলছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম ও মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলাম।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী নূরে রাব্বি নাঈম বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় জঙ্গিবাদের কোন স্থান নেই। তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ জঙ্গিবাদ নামক অভিশাপ মুক্ত হয়ে এগিয়ে যাবে আগামীর পথে’।

সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সম্পদ সাহা বলেন, ‘ শিক্ষার্থীদের জঙ্গিবাদে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। তাই শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি তাদের অভিভাবকদের সন্তানের সুস্থ বিকাশ এবং মানসিকতার দিকে লক্ষ রাখতে হবে’।

একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘ জঙ্গিবাদ মুক্ত বাংলাদেশ চাই। স্বপ্ন দেখি স্বপ্নের দেশে দুঃস্বপ্ন দেখে চমকে উঠবে না কেউ। এগিয়ে যাবে প্রিয় দেশ আর এর কাঁদামাটিতে বেড়ে ওঠা প্রতিটি মানুষ’।