দেশের ইতিহাসে প্রথম একসঙ্গে ১৪২ কয়েদির মুক্তি

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন কয়েদি মুক্তি পেয়েছেন। বাংলাদেশে একইদিনে কোনো কারাগার থেকে এত বিপুল সংখ্যক কয়েদির মুক্তি পাওয়ার ঘটনা এই প্রথম। এরা লঘু অপরাধে কারাভোগ করছিলেন।

রোববার বিকেলে তাদেরকে আদালত থেকে জামিন দেয়া হয়। পরে রাত ১০টায় সিলেট কারাগার থেকে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তি পেয়ে বন্দীরা খুবই আনন্দিত। তারা প্রধানমন্ত্রীকে তার এ মহৎ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

জানা গেছে, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি বিশেষ মানবিক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তার উদ্যোগ অনুসারে, যারা ছোটখাটো তথা লঘু অপরাধ করে কারাগারে আছেন, তারা যদি দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান ও ভালো পথে চলার অঙ্গিকার করেন, আর তাদের কারাজীবন সন্তোষজনক হয় তাহলে মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদেরকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় মুক্তি দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগের প্রথম বাস্তবায়ন ঘটলো সিলেটে।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, লঘু অপরাধে অভিযুক্ত বিভিন্ন মামলার ১৪২ জন আসামিকে রোববার সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত, সিলেট জেলা দায়রা জজ আদালতসহ বিভিন্ন আদালতে হাজির করা হয়। এসব আসামি মহানগর আইনে চুরি, ছিনতাই, পতিতাবৃত্তি প্রভৃতি অপরাধে অভিযুক্ত ছিলেন। আদালতে এসব আসামি নিজেদের দোষ স্বীকার করেন। তারা ভবিষ্যতে সঠিক পথে চলার অঙ্গিকারও করেন।

পরে আদালত মানবিক দিক বিবেচনা করে সকল আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। এছাড়া কিছু আসামির সাজার মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি প্রদান করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগের বাস্তবায়ন হিসেবে এসব কয়েদির মুক্তি পাওয়ার আগে সিলেট কারাগার পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র সচিব (সুরক্ষা ও সেবা) ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক।

সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল জলিল বলেন, মুক্তি পাওয়া ১৪২ আসামি আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করলে আদালত তাদেরকে জামিন প্রদান করেন। অনেকে মামলা থেকেও অব্যাহতি পেয়েছেন। দেশে এই প্রথম কোনো কারাগারের এতজন আসামি একসঙ্গে জামিন লাভ করলেন।