দ্রুত পদত্যাগ করুন, তত্ত্বাবধায়ক ছাড়া সব বিষয়ে ছাড় দেয়া হবে: খুলনায় রোডমার্চে মির্জা আব্বাস

সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

তিনি বলেছেন, আপনাদের সব বিষয়ে ছাড় দেওয়া হবে, শুধুমাত্র তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া। তাই দ্রুত পদত্যাগ করেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেন।

তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া জিয়াকে চিকিৎসার জন্য আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এর মধ্যে যদি নেত্রীকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অনুমতি না দেন এর পরিণতি কী ভয়াবহ হবে আপনারা (সরকার) দেখতে পারবেন?

মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে সরকারের পদত্যাগ দাবিতে ঝিনাইদহ থেকে ১৬০ কিলোমিটার পথ রোডমার্চ শেষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটাই, আমরা আগের মতো আর ভোট করতে দিব না। যেদিন আমরা এই জালিম সরকারের পতন ঘটাতে পারব সেদিন এই রোডমার্চের সমাপ্তি হবে। এ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাব না।

এদিকে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বিশ্বের ৮০টি গণতান্ত্রিক দেশ বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কারণ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। লোকে যাই বলুক যার চুরি করার স্বভাব সে চুরি করবেই।

প্রধানমন্ত্রীর দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, আমেরিকা গেলেন কি নিয়ে গেলেন কাউরে কিছু দিতে পারলেন না।

গয়েশ্বর বলেন, ১০ লক্ষ থেকে ১৫ লক্ষ কোটি টাকা দেশ থেকে চলে গেল এর হিসেব দিতে হবে। আপনি সিল মেরে ক্ষমতায় থাকবেন এটা হবে না। এর জবাব দিতে হবে।

তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের বলল, বিএনপির আয়ু ৩৬ দিন। তাকে আজরাইলের দায়িত্বটা কে দিল…।

তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলেন? ওবায়দুল কাদের কি ক্যালেন্ডারে দাগ দিয়ে রাখছেন? খালেদা জিয়া মৃত্যুর খবর কবে আসে? খালেদা জিয়া যদি বিনা চিকিৎসায় মারা যান শেখ হাসিনা কি দেশে থাকতে পারবেন? তারা চাচাতো ভাইদেরকে জানিয়ে দেন…। সরকারের চেয়ে তিন চার গুন বেশি টাকা এই পরিবারের হাতে রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বিএনপি এই সিনিয়র নেতা বলেন, আমাদের কোর্টে হাজিরা দেওয়ার সময় শেষ। শেখ হাসিনা সরকারের লোকজনেরা হাজিরা দেওয়ার সময় কি পাবে?

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা করো মৃত্যু চাই না। শুধু নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু,
অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য সৈয়দ মেহেদী হাসান রুমী, খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম আমিত, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, বিএনপি স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এসএম জিলানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদ ইকবাল খান বক্তব্য দেন।