নওগাঁর পত্নীতলায় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প‍্রস্তুতিমূলক সভা

শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে নওগাঁর পত্নীতলায় প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পত্নীতলা থানা পুলিশের উদ‍্যোগে বুধবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পত্নীতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিটন সরকার, পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামসুল আলম শাহ্, ইন্সপেক্টর মোঃ হাবিবুর রহমান, সেকেন্ড অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমান, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ, পত্নীতলা উপজেলা শাখার সভাপতি শিবনাথ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গৌতম দে, নজিপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ ফরহাদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রায়হান রেজা চৌধুরী’সহ উপজেলার বিভিন্ন পূজা মন্ডব হতে আগত প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পালিত হবে দূর্গোৎসব। প্রতিটি পূজা মন্ডপে ঢোকার আগে মন্ডপের সামনে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা, পূজা মন্ডপে দর্শনার্থীদের ভিড় যাতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা, এমনকি মুখে মাক্স ছাড়া মন্দির প্রাঙ্গণে প্রবেশ নিষেধ, এমন নির্দেশনা পূজা মন্ডপ কমিটির সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়। এছাড়াও বিজয়া দশমীর দিন সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে যার যার প্রতিমাগুলো বিসর্জন শেষ করতে জানানো হয় সভায়।

এসময় পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শামসুল আলম শাহ্ মাদক’কে বেশিরভাগ অপরাধের উৎস উল্লেখ করে বিভিন্ন উৎসব পার্বণগুলোতেও মাদকের প্রতি প্রশাসনের জিরো টলারেন্সের বিষয়টি জানান। এজন‍্য পুলিশের পাশাপাশি জনগণকে এ বিষয়ে সচেতন থাকবার তাগিদ দেন তিনি।

সভায় জানানো হয়, এবার উপজেলায় মোট ৮১টি মন্ডপে এই শারদীয় দূর্গা পুজো অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি মন্দিরে ২০ জন করে স্বেচ্ছাসেবক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সমম্বয় করে কাজ করবে। এরমধ্যে নজিপুর পৌর এলাকায় ১৫টি, পত্নীতলা ইউনিয়নে ০৯, দিবরে ০৪, আকবরপুরে ০৪, মাটিন্দরে ০৬, কৃষ্ণপুরে ০৫, পাটিচরায় ০৮, নজিপুর সদর ইউনিয়নে ১৩, ঘোষনগরে ০৬ এবং আমাইর ইউনিয়নে ১১, সবমিলিয়ে এই মোট ৮১ টি পুজো মন্ডপ স্থাপনের কাজ চলছে। উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।