নওয়াজ শরিফের জয়ের বিরুদ্ধে আদালতে পিটিআই

পাকিস্তান মুসলীম লীগ-এন (পিএমএলএন)-এর নেতা নওয়াজ শরিফ কারচুপি করে নির্বাচনে জিতেছেন- এমন অভিযোগ করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই)। আর এ অভিযোগ নিয়ে শনিবার আদালতের দারস্থ হয়েছে দলটি। এছাড়া নওয়াজের মেয়ে মরিয়ম নওয়াজের বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ করেছে তারা।

নওয়াজের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা পিটিআইয়ের কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী আদালতে বলেছেন, ফরম-৪৫ এর ফলাফল অনুযায়ী, নওয়াজ শরিফ হেরেছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা ফরম-৪৭ এ তাকে ‘বোগাস’ বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। এর প্রেক্ষিতে তারা লাহোর হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

ফরম-৪৫ হল পাকিস্তানের প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্রের আলাদা ফলাফল। ফরম-৪৫ এর ফল সকল কেন্দ্র থেকে সংগ্রহ করার পর ফরম-৪৭ এর মাধ্যমে একটি আসনের পূর্ণ ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

 

পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন এবারের নির্বাচনে পিটিআইকে নিজস্ব ‘ব্যাট’ প্রতীকে নির্বাচন করতে দেয়নি। ফলে পিটিআইয়ের প্রার্থীরা স্বতন্ত্রের ব্যানারে নির্বাচন করেন। তবে তাতেও বাজিমাত করেন তারা।

পিটিআই দাবি করেছে, ফরম-৪৫ অনুযায়ী তাদের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। কিন্তু পরবর্তীতে নওয়াজ শরিফকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

৭৪ বছর বয়সী নওয়াজ শরিফ জাতীয় পরিষদের ১৩০তম আসন থেকে জয়ী হয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, ১ লাখ ৭২ হাজার ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। সেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী পিটিআইয়ের ইয়াসমিন রশিদ ১ লাখ ৩০ হাজার ভোট পেয়েছেন। তবে প্রাথমিক ফলাফলে ইয়াসমিন রশিদ এগিয়ে ছিলেন।

অপরদিকে, মরিয়ম নওয়াজ জয় পেয়েছেন জাতীয় পরিষদের ১১৯তম আসন থেকে। নির্বাচন কমিশনের তথ্যানুযায়ী, তিনি ৮৩ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফারুক শাহজাদ ৬৮ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন।

নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা ইয়াসমিন রশিদ আদালতে অভিযোগ করে বলেছেন, ফরম-৪৫ অনুযায়ী তিনি জয় পেয়েছেন। কিন্তু ফরম-৪৭— এ নওয়াজকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।

ঠিক একই অভিযোগ করেছেন মরিয়ম নওয়াজের বিরুদ্ধে নির্বাচন করা ফারুক শাহজাদ। তিনিও জানিয়েছেন, ফরম-৪৫ অনুযায়ী তিনি জয় লাভ করেছেন।

এছাড়া সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মোহাম্মদ কোরেশির মেয়েও তার পরাজয়ের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয়েছেন। সূত্র: পিটিআই