নরসিংদীতে ডিসি অফিসের স্টাফ এখন পাসপোর্ট অফিসের প্রধান দালাল

নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস হয়রানি ও ভোগান্তিমুক্ত পরিবেশে পাসপোর্ট সরবরাহের নানা উদ্যোগ নিলেও পদে পদে বাধা রয়েই গেছে। এ ক্ষেত্রে দালাল চক্র বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকারি ফির দ্বিগুণ নিয়ে ভুল ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট দিচ্ছে এ চক্র। পাসপোর্ট পেতে গ্রাহক ভেরিফিকেশন বা পুলিশের তদন্তের সময় বড় হয়রানির শিকার হন। টাকা ছাড়া কোনো ভেরিফিকেশন হয় না বলে পাসপোর্ট পাওয়া অনেক গ্রাহক জানিয়েছেন। সত্যায়নের নামেও হয়রানি করা হয়। এ ছাড়া পাসপোর্ট অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের অভাব, অবকাঠামোগত নানা সমস্যার জন্য গ্রাহকের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

এমন পরিস্থিতিতে নরসিংদী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ঢাকা থেকে আমাদের একদল সংবাদকর্মী গেলে তারা সরেজিমেন গিয়ে দেখে যে, নরসিংদী জেলার পাসপোর্ট অফিসের প্রধান দালাল হচ্ছে ডিসি অফিসের এক অসাধু কর্মকর্তা।

তার খোঁজ নিতে গিয়ে বেরিয়ে আসে বিশাল বিশাল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গেছে যে, পাসপোর্টের ঐ দালালের নাম হচ্ছে আব্দুল জলিল। যে দীর্ঘ দিন যাবৎ ডিসি অফিসে কাজ করার নামে তার অসাধু কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে। রীতিমত সে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নিচে একটি ছোটখাট পাসপোর্ট অফিস বানিয়ে রাখছে। তার অধীনে প্রায় ৫/৬ জন কর্মচারী রয়েছে শুধুমাত্র পাসপোর্ট ফাইল পূরণ করার জন্য। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে, সে অনেক গরীব, দুঃখী মানুষের কাছ থেকে পাসপোর্ট করে দিবে বলে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সে বর্তমানে অঢেল সম্পত্তির মালিক হয়েছে। নরসিংদী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্টাফ আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে ০৭ পর্বের ধারাবাহিক সংবাদের মধ্যে প্রথম পর্বেই বেরিয়ে এসেছে অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য। যা আগামী পর্বে ধাপে ধাপে তুলে ধরা হবে।

এ বিষয়ে নরসিংদী ডিসি অফিসের অসাধু স্টাফ আব্দুল জলিলকে সংবাদকর্মী নাঈম জিজ্ঞাসা করলে, তিনি পাসপোর্টের কাজ করে বলে স্বীকার করেন মোবাইল ফোনে। ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবার কাজ করেন বলেও জানান।

এ বিষয়ে নরসিংদী জেলা প্রশাসক মহোদয় আবু নইম মোহাম্মদ মারুফ খান এর নিকট সংবাদকর্মীরা মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি আসার পরে শুনিনি। যেহেতু আপনি বলেছেন আমি এই বিষয়টি অবশ্যই দেখবো ও প্রয়োজনে আপনার সঠিক প্রমাণাদি নিয়ে আমার কাছে আসুন আমি যথাযথ ব্যবস্থা নিব। 

এ বিষয়ে জেলা পর্যায়ের কিছু সংবাদকর্মীদের নিকট জানতে চাইলে, তারা অনেক কিছু জেনেও এড়িয়ে যান। যেহেতু তারা স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করেন তাই স্থানীয় সংবাদকর্মীরা নিজেদের মান সম্মানের ভয়ে মুখ খুলতে রাজ হননি। কারণ এই দালাল চক্র অনেক শক্তিশালী।