নরসিংদীতে রায়পুরায় ২ ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ,সংবাদ সম্মেলন করায় ব্যক্তির বিরুদ্ধে চালাচ্ছে অপপ্রচার

নরসিংদী রায়পুরা উপজেলায় রাজিউদ্দিন বুধবার (১৭ এপ্রিল) সকালেআহমেদ রাজু অডিটরিয়ামে ভূমিদস্যু ২ ভাই দলিল লেখক মোতালিব ভেন্ডার ও সেন্টু গং কর্তৃক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ডিবি (সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইম) মো. সোলায়মান মিয়ার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে মিথ্যা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ফ্রেন্ডস ফরএভার ৯৮ এসএসসি ব্যাচের বন্ধুরা।

এদিকে রায়পুরা উপজেলায় প্রতাপশালী ভূমিদস্যু সেন্টু মিয়া ও মোতালিব ভেন্ডার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইডিট করে অপপ্রচার চালাচ্ছে মোঃ মিলন ভূইয়ার বিরুদ্ধে। রিপোর্টটি সম্পূর্ন ভূয়া ও মিথ্যা। এবিষয়ে প্রথম সকাল বার্তা সম্পাদকের নিকট সংবাদকর্মী রুদ্র জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের
ওয়েবসাইটে এরকম কোন সংবাদ ছাপানো হয়নি। প্রতারনার মাধ্যমে এই সংবাদটি যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে।

যারা এরকম হীন কাজে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আপনারা যে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আমি আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা করবো। এদিকে রায়পুরা থানা এলাকার বাসিন্দা মোসা: কুলসুম আক্তার বলেন, সেন্টু ও মোতালিব ভেন্ডার একটি প্রতারক চক্র। তাদের প্রতারনার ফাদে পড়ে অনেকে নিঃস্ব হয়েছে। তারা অন্তরালে ভূমিদস্যু সহ বিভিন্ন অসহায় মানুষের জমি দখল করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্যত্র বিক্রি করে। অথচ প্রকৃত জমির মালিকরা এই দুই প্রতারকের কাছে নির্যাতনের শিকার হয়। তারা এরকম একটি সিন্ডিকেট তৈরী করেছে যা সন্ত্রাসী সিন্ডিকেট নামে পরিচিত।

জানা যায়, সংবাদ সম্মেলনে ‘৯৮ ব্যাচের পক্ষ হতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ মিলন ভূইয়া। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের বন্ধু ’৯৮ ব্যাচের গর্ব রায়পুরা তথা নরসিংদীর কৃতি সন্তান অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার ডিএমপি মোঃ সোলায়মান মিয়া ।

জানামতে একজন সৎ, পরোপকারী ও সাদা মনের মানুষ। তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তার বিরুদ্ধে মোতালিব ও সেন্টুর লোকজন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য অপ-প্রচার করে আসছে। অথচ, তারা নিজেরাই ভূমিদস্যু।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রায়পুরা পশ্চিমপাড়া মোঃ সোহেল ভূইয়া নামে একজন তার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে স্থাপনা নির্মান করতে গেলে রায়পুরার দলিল লেখক সমিতির সভাপতি মোতালিব ভেন্ডার ও খলিলুর রহমান সেন্টু, ইদ্রিস আলী মুন্সীসহ বেশ কয়েকজন ঐ জায়গায় স্থাপনা নির্মান করার জন্য বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে সোহেল ভূঁইয়াকে শারিরীক ভাবে আঘাত করে ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে এবং ১০লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। সোহেল ভূঁইয়া ক্রয়কৃত সম্পত্তির সকল কাগজ-পত্র প্রদর্শন করলেও উক্ত সন্ত্রাসিরা তাদের দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা না পাওয়ায় তাকে তার ক্রয়কৃত সম্পত্তিতে কোনরূপ কাজ কর্ম করতে দিচ্ছে না।

উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ সোলায়মান মিয়াকে নিয়ে চক্রটি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও সংবাদ পত্রে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য ও অপ-প্রচার করে যাচ্ছে। উক্ত ঘটনার সাথে সোলায়মান মিয়ার কোনরূপ সম্পৃক্ততা বা সূত্র না থাকা সত্তেও ওই চক্রটি নানা ভাবে অপ-প্রচার করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।

স্থানীয়রা আরো জানায়, এই গ্রুপটি রায়পুরা এলাকার অনেক মানুষের জায়গা-জমি জোর পূর্বক দখল ও প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ মোতালিব ভেন্ডারের আপন চাচা সুবল মিয়া ও আপন চাচাত ভাই সহিদ, রায়পুরা পূর্বপাড়া গ্রামের ফারক মিয়া, রায়পুরা বাস ষ্ট্যান্ডের সরকারী জায়গা ও মিজান মিয়ার জায়গা, পশ্চিমপাড়া মোড়ের প্রদীপ সাহার জায়গা, পশ্চিমপাড়ার করিমের সম্পত্তি ও পশ্চিমপাড়ায় সরকারী সম্পত্তি, মোনায়েম ভূইয়া সহ রায়পুরা কো-অপারেটিভ সমিতির কোটি কোটি টাকার সম্পতি এভাবে সন্ত্রাসি কার্যকলাপের মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছে। যেখানে তারা নিজেরাই ভূমিদস্যু, উপরন্তু রাষ্ট্রের একজন সম্মানিত নাগরিকের উপর এহেন ঘৃনিত অপ-প্রচার করে সমাজে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করছে। এ সন্ত্রাসি বাহিনীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য দাবি করেছে এলাকাবাসী।

এদিকে সম্প্রতি সময়ে খোজ নিয়ে জানা যায়, এ জমির বিষয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলে আসছে। রায়পুরা উপজেলার মেয়র একাধিকবার সালিশের মাধ্যমে মোতালিব ভেন্ডার ও সেন্টু ভূইয়াকে তাদের প্রকৃত কাগজপত্র নিয়ে এসে সালিশের মাধ্যমে সমাধানের প্রস্তাব দিলেও তারা বৃদ্ধাংগুলী দেখিয়ে দায় এড়িয়ে যায়। প্রকৃতপক্ষে তারা কোন সালিশেই সঠিক কাগজপত্রাদি দেখাতে পারে না। অথচ প্রকৃত জমির মালিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে এই ভূমিদস্যুরা।

এমনকি রায়পুরা থানায় ও একাধিকবার সালিশের প্রস্তাব দিলেও তারা কাগজপত্র দেখায় না এবং সালিশে বসে না।

এ বিষয়ে মোতালিব ভেন্ডার ও সেন্টু মিয়ার নিকট একাধিকবার সংবাদকর্মীরা যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে, তারা এ বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
রায়পুরা উপজেলার সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসের এক দলিল লেখক পরিচয় গোপন রাখার শর্তে জানায়, এই মোতালিব ভেন্ডার বিগত সময়ে মানুষকে হ্যারেজমেন্টসহ ভূমিদস্যুর মতো কাজ করে আসছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তার জন্য অন্যান্য ভেন্ডারী পেশার মানুষেরা সামাজিক হেয় প্রতিপন্ন হচ্ছে।