নরসিংদীতে পরিকল্পিতভাবে ২ যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আদালতে মামলা

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাসিন্দা রসুলপুর গ্রামের মৃত আতাউর মিয়ার ছেলে জুয়েল (২৬) এবং একই গ্রামের শহিদুল মিয়ার ছেলে নাদিম (২৮) কে বাড়ি থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বেলাবো উপজেলা ডেকে নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে খুনের অভিযোগ উঠেছে। গত ৮ই জুন ২০২১ ইং তারিখে রোজ মঙ্গলবার রাতে বেলাবো উপজেলার দড়িকান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিবার কয়েকজনকে আসামী করে নরসিংদীর বিজ্ঞ আদালতে একটি সি.আর মোকদ্দমা করেন। যাহার নং- ২২০/২০২১ ইং। এই মামলায় আসামী করা হয়েছে ১) বিপ্লব (৩২) ২)সোহাগ (৩৫), উভয় পিতা- সামসু ওরফে সামসু ডাকাত, উভয় সাং- লোচনপুর মধ্যপাড়া, থানা- রায়পুরা, জেলা- নরসিংদী ৩) ফজু মিয়া (৪০), পিতা- কালাচান ওসমান, সাং- বড়চর ৪) ওসমান (৩৬), পিতা- লালচান মুন্সী, সাং- নবীয়াবাদ ৫। রুবেল মিয়া (২৫), পিতা- সুলতান মিয়া, সাং- লোচনপুর, সর্ব থানা- রায়পুরা ৬) মাসুদ মিয়া (২৬), পিতা- আব্দুল আলী মুন্সী, সাং- আমতলী, থানা- বেলাবো, সর্ব জেলা- নরসিংদীসহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জন।

এই সমস্ত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে এজাহারে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয় এই সন্ত্রাসীরা ৫ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে জুয়েল (২৬) এবং নাদিম (২৮) কে হত্যা করা হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাদেরকে ডাকাতের পরিচয় দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আসামীরা পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, ১ ও ২ নং আসামীর পিতা কুখ্যাত সামসু ডাকাত রায়পুরা উপজেলার মনিপুরা স্কুল সংলগ্ন এক মহিলার বাড়ীতে ডাকাতি করতে গিয়ে ধরা পড়ে গণপিটুনীতে নিহত হয়েছে।

এ বিষয়ে মামলার বাদীনি পরিষ্কার বেগম সংবাদ কর্মী রুদ্র এর নিকট অভিযোগ করে বলেন, আমার ভাইদেরকে আসামীরা পরিকল্পিতভাবে ডেকে নিয়ে খুন করেছে। তাই থানায় ঘুরতে ঘুরতে বিচার না পেয়ে অবশেষে আমি নিরূপায় হয়ে আদালতে মামলা করেছি।

এদিকে বাদীনি পক্ষের আইনজীবী জনাব এডভোকেট বদরুল আলম বলেন, মামলাটি খুবই হৃদয় বিদারক ঘটনা। বাদীনি পক্ষের লোকেরা খুবই অসহায়। তারা দ্বারে দ্বারে ঘুরে কোন ঠাই পাচ্ছিল না। অবশেষে আমার নিকট এলে আমি তাদেরকে আইনী বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছি এবং বর্তমানেও তাদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট মামলাটি আমলে নিয়ে সন্তোষজনক রায় দিয়েছেন এবং বেলাব থানাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।