নরসিংদীতে পিবিআই কতৃক টাকা ও স্বর্নালঙ্কার উদ্ধার

নরসিংদীতে আমেনা আক্তার ও সাইদুল ইসলামের বিয়ে হয় প্রায় সতেরো বছর পূর্বে। বিয়ের পর তারা ঢাকাই বসবাস করতেন। বিয়ের পর তাদের কোল জুড়ে দুইটি সন্তান আসে। এরই মধ্যে আমেনা আক্তারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় লক্ষীপুর জেলার কমলনগর উপজেলার দক্ষিন চরমার্টিন গ্রামের বেলায়েতের সাথে পরিচয় থেকে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কে  জড়িয়ে পরে। সেই  সম্পর্কের  জ্বের ধরে গত ০৮/০১/২০২২ খ্রিঃ তারিখে আমেনা আক্তার ঢাকার উত্তরা বাসা থেকে১৬,৫০,০০০/- টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে প্রেমিক বেলায়েতের হাত ধরে পালিয়ে যায়। 

অপরদিকে বেলায়েত তার পরিবারকে মোবাইল ফোনে মেসেজের মাধ্যমে ওমানের রাজধানী মাসকট যাওয়ার কথা জানায়।সাইদুল বাসায় এসে তার স্ত্রীকে এবং টাকা স্বর্ণালঙ্কার না পেয়ে ডিএমপি ঢাকা উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন তারপর দিন ৯ তারিখে যার  জিডি নং ৬২২ । সাধারন ডায়েরীটি পিবিআই হেডকোয়ার্টার্স কতৃক , নরসিংদী পিবিআই অফিসে পাঠায়  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য। পুলিশ সুপার, এনায়েত হোসেন মান্নান এর দিক নির্দেশনায় পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক মোস্তফা খায়রল বাশারের নেতৃত্বে একটি টিম  টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধারের জন্য নরসিংদীসহ আশেপাশের বিভিন্ন জেলায় উদ্ধার অভিযান চালায়। 

গত ১৩/০১/২০২২ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৩:৪৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংদী জেলার সদর থানার বাসাইল এলাকার ওসমানের বাড়ি হতে, উভয়কে ১২,৭০,০০০/- টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকা তারা  খরচ করে ফেলেছে জানায়।

উদ্ধারের পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মোঃ মোস্তফা খায়রল বাশার ভিকটিম, দুই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও ১২,৭০,০০০/-(বার লাখ সত্তর হাজার) টাকা  সাইদুল ইসলামকে বুঝিয়ে দেন। এ সংক্রান্তে আইনগত অন্যান্য কার্যক্রম চলমান রয়েছে।