নরসিংদীতে রায়পুরায় সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় ৫০ জনের বিরদ্ধে মামলা

নরসিংদীর রায়পুরায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আজগর আলী (৫৫) নামে একজন নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। রোববার রাতে নিহতের ভাই মো: হারিছ মিয়া বাদী হয়ে শ্রীনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মেম্বার শাহ আলম ও তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলেসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে রায়পুরা থানায় হত্যা মামলাটি করেন।

ঘটনার দিন শনিবার (১৯ নভেম্বর) অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার হন শাহ আলমের ছেলে হৃদয় হাসান (২০)। পরে পুলিশ বাদী হয়ে হৃদয় ও তার বাবা শাহ আলমকে আসামি করে অস্ত্র আইনে মামলা করে। রোববার অস্ত্র মামলার প্রধান আসামি হৃদয়সহ অন্য আসামীদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (রায়পুরা সার্কেল) সত্যজিৎ কুমার ঘোষ জানান, সোমবার দুপুর পর্যš— হত্যা ও অস্ত্র মামলায় শাহ আলমের স্ত্রী, দুই ছেলেসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যা মামলার প্রধান আসামি শাহ আলমসহ অন্যরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

উলেখ্য, গত বছর উপজেলার ইউপি নির্বাচনে শ্রীনগর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন শাহআলম মেম্বার ও হাজী আব্দুল খালেক। নির্বাচনে হাজী আব্দুল খালেক বিজয়ী হন। পরে পরাজিত শাহ আলমকে ভোট না দেওয়ায় গত ১৩ জুলাই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে টেঁটাসংঘর্ষে লিপ্ত হয় উভয়পক্ষের লোকজন।

এতে শাহআলম মেম্বারের সমর্থক মফিজ উদ্দিন নামে একজন টেঁটাবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। এরই জেরে শাহ আলমের লোকজন বিজয়ী আব্দুল খালেকের লোকজনের অর্ধশতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়িঘর ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটের ঘটনা ঘটায়। ওই ঘটনায় মফিজের পরিবারের পক্ষ থেকে খালেক মেম্বারসহ ৩৩ জনের বিরদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়। এরপর থেকে প্রায় পাঁচ মাস ধরে এলাকাছাড়া ছিলেন খালেক গ্রুপের সমর্থকরা।

গত শনিবার (১৯ নভেম্বর) ভোরে খালেক গ্রুপের লোকজন পুণরায় গ্রামে ফেরার চেষ্টা করলে বর্তমান মেম্বার আব্দুল খালেক হাজি ও সাবেক মেম্বার শাহ আলম গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র টেঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় প্রতিপক্ষের টেঁটার আঘাতে গজারিয়া কান্দি গ্রামের আশ্রাব আলীর ছেলে ও বর্তমান ইউপি সদস্য খালেক হাজী সমর্থক আজগর আলী (৫৫) মারা যান। তিনি পেশায় একজন কৃষক ও জেলে। এ ঘটনায় আহত হন আরও অন্তত ১০ জন। ওই দিন ৬ জনকে আটক করে পুলিশ।