নরসিংদীর রায়পুরার মরজালে বাজার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ঈদ সামগ্রী বিতরণ

নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার মরজাল সমতা বাজারের পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুলাল খান ও সাধারন সম্পাদক রাশেদ মেম্বারের পক্ষ থেকে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

জানা যায়, মরজাল বাসষ্ট্যান্ড বাজারটি প্রায় ৪০ বছরের পুরনো। দীর্ঘদিন ধরে বাজারটি থাকলেও এখানে ইতিপূর্বে গরীবদের মধ্যে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়নি।
এই মরজাল বাসষ্ট্যান্ড সমতা বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ আসাদ মিয়া সংবাদকর্মী রুদ্রকে জানান, আমার ব্যবসায়ী জীবনে অনেকেই বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি, সাধারন সম্পাদক হয়েছেন।

বর্তমান কমিটির পরিচালনায় আমরা খুবই সন্তুুষ্ট। শান্তিপূর্নভাবে বাজারে ব্যবসা করে আসছি। যা ইতিপূর্বে ছিলো না।

এদিকে বাসষ্ট্যান্ডের ফল ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমান বাজার পরিচালনা কমিটির প্রতি আমরা খুবই সন্তুুষ্ট। এই কমিটি দীর্ঘদিন থাকলে সবাই উপকৃত হবে। আমরা আশা করি যেন বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দীর্ঘদিন আমাদের মাঝে থাকবেন।

শনিবার (৬ এপ্রিল) মরজাল বাসষ্ট্যান্ড সমতা বাজার পরিচালনা কমিটির অফিসের ভেতর, বাজারের সাধারন কর্মচারী, কেয়ারটেকার, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, লঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

উক্ত অনুষ্ঠানে দায়িত্বে থাকা শহিদ মিয়া সংবাদকর্মীদের জানান, বর্তমান পরিচালনা বাজার কমিটি একটি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে কাজ করছে ও ব্যবসায়ীরা নিরাপদে শান্তিপূর্নভাবে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। আগের মতো চুরির ঘটনা হয় না এখন বললেই চলে। সার্বক্ষনিক মনিটরিং এর মাধ্যমে বাজারের কার্যক্রম চলছে।

এদিকে বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি দুলাল খান সংবাদকর্মী রুদ্রকে জানান, আমি মরজাল বাসষ্ট্যান্ডে ব্যবসায়ীদের নিরাপদে ব্যবসা নিশ্চিত করতে সার্বক্ষনিক চেষ্টা করে আসছে। প্রতিটি ব্যবসায়ী যেন নিরাপদে শান্তিপূর্নভাবে ব্যবসা করতে পারে সেজন্য আমি নিজেও রাতের বেলা পাহারার ব্যবস্থা করেছি।

মরজাল বাসষ্ট্যান্ডের পরিচালনা কমিটির সাধারন সম্পাদক রাশেদ মেম্বার সংবাদকর্মীদেরকে জানান, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ মরজাল বাসষ্ট্যান্ডের একজন ব্যবসায়ী ছিলাম ও বর্তমানেও আছি। তাই ব্যবসায়ীদের সুখ-দুঃখ কিছুটা হলেও বুঝি। ব্যবসায়ীদের নিরাপদ রাখাই আমার কাজ। সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই হাতে নিয়েছি।

মরজাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান গনমাধ্যমকর্মীদেরকে জানান, এই মরজাল বাজারে সকল ব্যবসায়ীরা যেন নিরাপদে শান্তিপূর্নভাবে ব্যবসা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমি এই কমিটি করে দিয়েছি।

প্রত্যেকটি ব্যবসায়ী নিরাপদে ব্যবসা করার সমস্ত রকমের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। অনেক ক্ষেত্রে রায়পুরা থানার পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় মরজাল বাসষ্ট্যান্ড সমতা বাজারটি একটি শান্তিপূর্ন ব্যবসার স্থান হয়েছে।