নরসিংদীর রায়পুরায় ৩ যুবদল নেতাসহ গ্রেপ্তার ৪

নরসিংদীতে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে পোষ্টার-ব্যানার নিয়ে বের হওয়ার সময় ৩ জন যুবদল নেতাসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার চিনিশপুরের দলীয় কার্যালয়ের গেইটের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। শুক্রবার তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, রায়পুরা থানা যুবদলের আহবায়ক নূর আহাম্মেদ চৌধুরী মানিক ও সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির, রায়পুরা পৌর ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী সামসুজ্জামান ও জেলা বিএনপির সদস্য আওলাদ হোসেন মোল্লা।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রুল কবির খোকন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কার্যালয়ের ভেতরে বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন থেকে আসা দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মিটিং করছিলেন খায়রল কবির খোকন। আগামী ১০ ডিসেম্বরে ঢাকার সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীদের করণীয় নিয়ে মিটিংয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বিভিন্ন উপজেলার বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের কাছে ওই সমাবেশ সংশিষ্ট পোষ্টার-ব্যানার বুঝিয়ে দেওয়া হয়। রাত ৮টার দিকে রায়পুরা থানা যুবদলের আহবায়ক নূর আহাম্মেদ চৌধুরী, সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির ও রায়পুরা পৌর ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী সামসুজ্জামান হাতে পোষ্টার-ব্যানার নিয়ে ওই মিটিং থেকে বের হন। এ সময় কার্যালয়ের গেটের সামনে থেকে উৎ পেতে থাকা পুলিশ সদস্যরা তাদের গ্রেপ্তার করেন।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও জেলা বিএনপির আহবায়ক খায়রল কবির খোকন বলেন, পুলিশকে ব্যবহার করে ভোট ডাকাত আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি দেখাতে একের পর এক গায়েবী, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিচ্ছে। এসব মামলায় আমাদের উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে, যাতে আগামী ১০ ডিসেম্বর আমরা মহাসমাবেশ সফল করতে না পারি।
নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, পুলিশ বাদী হয়ে করা মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শুক্রবার তাদেরকে নরসিংদীর আদালতে পাঠানো হয়।

গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কার্যালয়টির ভেতরে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়কদের নিয়ে সাংগঠনিক বৈঠক চলাকালে শতাধিক পুলিশ সদস্য। তিন ঘণ্টা সময় ধরে চলা অভিযানকালে একটি রিভলবার, কিছু ককটেলসদৃশ বস্তু ও অর্ধশতাধিক মশাল জব্দ করা হয় বলে জানায় পুলিশ। ওই সময় অন্তত ১০ জন নেতা-কর্মীকে আটক করে থানায় নেয় পুলিশ।

পরদিন উপপরিদর্শক মো. মনির হোসেন বাদী হয়ে বিএনপির ২৬ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করে বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। আটক ১০ জনের মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ছয়জনকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তারা হলেন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম, করিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মনির হোসেন, জেলা ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমান, বিএনপি কর্মী আবদুল বাতেন, তফাজ্জল হোসেন ও কামাল ভূঁইয়া।