নেত্রকোণার মদনে ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইট ভাটায়; অভিযোগ এলাকাবাসির

নেত্রকোণার মদনে ফসলী জমি থেকে অনবরত মাটি নিয়ে যাচ্ছে ইট ভাটায়। নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের ভারসাম্য। যত্রতত্র ভাবে মাটি নেওয়ায় পিচ রাস্তায় জমছে মাটি, উড়ছে ধুলো। অল্প বৃষ্টি হলেই রাস্তায় ঘটে দূর্ঘটনা। ইট ভাটা’র আশেপাশের এলাকায় গাছে ফলছে না মৌসুমি ফল।

এদিকে, কাইটাইল বাজার ঘেঁষে গড়ে ওঠা আব্দুল ওয়াহেদ ব্রিকস ও মেসার্স আকীক ব্রিকস এ দুটি ইট ভাটায় পুড়ছে অনবরত ইট। উপজেলায় ৫ টি ইট ভাটা রয়েছে। সরজমিন গেলে প্রত্যেকের একই বক্তব্য সব কাগজ পত্র আছে। কিন্তু কাজ দেখাতে বললে কোনো ইট ভাটার দায়িত্বশীলরাই কাগজ দেখাতে পারেননি।

একাধিকবার সংবাদ প্রকাশিত হলেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ায় সচেতন মহলে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। দু’একটি ইট ভাটায় প্রশাসনের দোহাই দেওয়ায় বিষয়টি আরো ঘনীভূত হয়েছে।

আলী আকবর, সূরুজ্জামান, কুদ্দুছ মিয়াসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয় কৃষক জানান, আমাদের বাড়ি ফলনতি গাছে কোন ফল হয় না, কয়েক বছর ধরে মান্নী হাওর ও ইট ভাটার আশপাশে থাকা ফসলী কৃষি জমি ও বয়রালা নদীর পাড় কেটে নিয়ে যাচ্ছে দু’টি ইট ভাটায়। ইট ভাটার মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলচ্ছে না।

এব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম,সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিষয়ে আব্দুল ওয়াহেদ জানান, আমার ইট ভাটায় মাটি কোথায় থেকে আসছে কিভাবে আসছে আমি জানি না। যারা মাটি দিচ্ছে তারা তা জানে। মাটি কেনার চুক্তির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.টি.এম. আরিফ জানান, ফসলী জমি থেকে বেকু দিয়ে মাটি উত্তোলন করে ইট ভাটায় দেওয়ার সময় মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, সরকারের অনুমোদন বিহীন কেউ যদি বেকু দিয়ে মাটি কাটে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।