নোয়াখালীর চাটখিলে অন্ডকোষ টিপে প্রবাসী স্বামীকে হত্যার অভিযোগ; স্ত্রী আটক

নোয়াখালীর চাটখিলে অণ্ডকোষ টিপে ওমান প্রবাসী স্বামীকে হত্যার অভিযোগে স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

নিহত ইলিয়াছ হোসেন (৩৫) উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের ৩নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসি বাড়ির মোহাম্মদ উল্যার ছেলে এবং সে ২ সন্তানের জনক ছিল।

শুক্রবার (২২ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

আটক ফাতেমা আক্তার সোনিয়া (২৫) ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ার পাঠান নগর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম পাঠানগড় গ্রামের ইভু ভেন্ডার বাড়ির আহসান উল্যার মেয়ে এবং নিহত ইলিয়াছ হোসেনের স্ত্রী ছিল।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওমান থেকে গত ৪ ফেব্রুয়ারি দেশে আসেন ইলিয়াছ। ছুটি শেষে রোজার ঈদের পরে পুনরায় তার ওমান চলে যাওয়ার কথা ছিল। সাত বছর আগে পারিবারিক ভাবে সোনিয়ার সাথে ইলিয়াছের বিয়ে হয়। বউয়ের কারণে সে ভাইদের সাথে তেমন কথাবার্তা বলতে পারতনা। শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে সে বড় ভাই আব্দুল মতিনের সাথে বাড়িতে ফিরেন। এ নিয়ে ঘরে ঢুকলে বউয়ের সাথে প্রথমে ইলিয়াছের বাকবিতন্ডা হয়। পরে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে স্ত্রী সোনিয়া স্বামীর অন্ডকোষ টিপে ধরলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার দিকে গৃহবধূ সোনিয়াকে শ্বশুর বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

চাটিখল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.এমদাদুল হক বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ স্ত্রী সোনিয়া তার স্বামীকে অন্ডকোষ চেপে ধরলে সে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওসি এমদাদুল হক আরও বলেন, এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুল মতিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে। শনিবার সকালে ওই মামলায় আটক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হবে।