ন্যাটো সদস্য ‘হয়েই গেল’ ভারত

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র সামরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক কমকাসা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের সঙ্গে যে চারটি মৌলিক চুক্তি স্বাক্ষর করে তার মধ্যে এটি অন্যতম।

টাইমস অব ইন্ডিয়া পত্রিকাটি বলছে, চুক্তিটি স্বাক্ষর করায় ভারত ‘প্রায় ন্যাটোর সদস্য’ হয়ে গেল।

টু প্লাস টু সম্মেলনের উদ্বোধনী বৈঠকে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সিতারমন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এতে অংশ নেন।

টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, দেশটি ইতোমধ্যেই অন্য দুটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। মার্কিন সামরিক ও প্রতিরক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ভারতকে দেয়া বিভিন্ন তথ্য সুরক্ষিত করতে ২০০২ সালে ভারত জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন এগ্রিমেন্টে স্বাক্ষর করে।

এরপর তারা ২০১৬ সালে সামরিক যানের জ্বালানি ও রশদ সরবরাহের জন্য দু’দেশের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ব্যবহারের অনুমোদনের বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে।

কমিউনিকেশনস কম্প্যাটিবিলিটি অ্যান্ড সিকিউরিটি এগ্রিমেন্ট বা কমকাসা স্বাক্ষরের ফলে যোগাযোগ যন্ত্র ও নেটওয়ার্ক ব্যবহার সুবিধার নিশ্চয়তা দিবে।

এই চুক্তির ফলে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা বিমানে তারা নিরাপদ যোগাযোগ যন্ত্র ইনস্টল করতে পারবে। ভারত আগে যেসব বিমান কিনেছে তাতে এমন যন্ত্র লাগানো নেই।

যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহৃত উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন যন্ত্র ও সশস্ত্র ড্রোনও বিক্রি করবে।

একইসঙ্গে ভারত মার্কিন সামরিক যোগাযোগের বিভিন্ন সুরক্ষিত লিঙ্ক ব্যবহার করতে পারবে। লিঙ্ক ১৬-এর মতো সুরক্ষিত এসব লিঙ্ক মূলত নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অরগানাইজেশন বা ন্যাটোর জন্য তৈরি করা হয়েছিল।

লিঙ্ক ১৬-এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। এটা প্রথমে যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাডার সিস্টেমে এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ন্যাটোর সামরিক স্থাপনায় বসানো হয়েছে। পরে দক্ষিণ কোরিয়াও এই যোগাযোগ ব্যবস্থার অন্তর্ভুক্ত হয়। এবার ভারতও এতে যোগ দিল।

ভারত এমন সময়ে এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত হলো, যখন ইউরোপের সঙ্গে ট্রাম্পের যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে।