পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে সবুরা খাতুন (৪৫) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ করেছে নিহতের আত্মীয়জন।

সোমবার (৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।

সবুরা উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ভূতিপুকুর এলাকার কাশিম উদ্দিন হুলুর স্ত্রী।

ওই নারীর পরিবারের লোকজন জানায়, প্রায় ২২ বছর আগে প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর দেবনগর ইউনিয়নের কামাতপাড়া এলাকার ফজলে করিমের মেয়ে সবুরা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন কাশিম উদ্দিন হুলু। বর্তমানে তাদের সংসারে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। মাঝে মধ্যেই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলতো। স্থানীয় ভাবে কয়েকবার শালিসও হয়েছে।

গত রোববার ভাইয়ের বাড়িতে যেতে চাইলে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে কাশিম তাকে মারধর করে। রাগের ক্ষোভে বাড়িতে থাকা কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে সবুরা। পরে তাকে আবারও মারধর করার সময় তার অবস্থার অবনতি হলে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে কাশিম উদ্দিন।

সবুরার ভাই খাদেমুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, কাশিম আমার বোনকে সামান্য বিষয় নিয়ে মারধর করতো। সেদিন আমার বাড়িতে আসতে চাওয়ায় তাকে প্রচন্ড মারপিট করে। রাগে ক্ষোভে আমার বোন আত্মহত্যার জন্য বিষ পান করে। এই অবস্থাতে আবারও তাকে মারধর করা হয়। পরে আমার বোনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার রাতে আমার বোন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তারা লাশ রেখে পালিয়ে যায়। আমরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এদিকে কাশিম উদ্দিনের পরিবার বলেন, তাকে কোন মারপিট করা হয়নি। ভাইয়ের বাড়িতে যেতে নিষেধ করায় সে নিজেই বিষপান করেছে। দেবনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ছলেমান আলী বলেন, এর আগে বেশ কয়েকবার বিচার শালিস হয়েছে। মৃত্যুর এই ঘটনায় ওই নারীর শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে জানা গেছে। আমরা এ ঘটনার ন্যায্য বিচার চাই।

তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে সবুরা নামের ওই নারী মারা যায়। এ বিষয়ে ইউডি মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।